ফাইনালে মাঠে ঢোকা তরুণীর ১৫ দিনের জেল
স্পোর্টস ডেস্ক: আয়োজকদের তৎপরতায় বেশ সুষ্ঠভাবেই রাশিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে ২১তম বিশ্বকাপ আসর। যদিও ফাইনালের দিনের একটি ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ম্যাচ চলাকালীন সময় মাঠের মধ্যেই ঢুকে পড়েছিলেন জনা তিনেক তরুণ-তরুণী। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওক্রমে তাঁদের পাঁজাকোলা করে বের করেন। এমন কাণ্ড ঘটানোর জন্য গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল তাঁদের। এবার সাজা ঘোষণা করা হলো। তাঁদের ১৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল মস্কো আদালত।
ফ্রান্স বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎই দেখা গেল ফ্রান্সের গোলপোস্টের দিক থেকে মাঠে ঢুকে পড়লেন তিনজন। তাঁদের প্রত্যেকের পরনে পুলিশের পোশাক। পুলিশের চোখকে ফাকি দেওয়ার জন্য তাঁদেরই মতো হ্যাট পরে মাঠে ঢুকে পড়েছেন অনুপ্রবেশকারীরা। মাঠের মধ্যে প্রায় ৫০ মিটার পর্যন্ত ঢুকে পড়েন তাঁরা। আর একজনও চেষ্টা করেছিলেন মাঠে ঢোকার। তবে তাঁকে সাইডলাইনেই আটকে দেন পুলিশকর্মীরা। বাধ্য হয়ে সাময়িকভাবে খেলা বন্ধ রাখতে হয় রেফারিকে। প্রায় ২৫ সেকেন্ড পরে পুলিশকর্মীদের তৎপরতায় মাঠ থেকে বের করা সম্ভব হয় তিনজনকে। পরে এই তিন মহিলা ভেরোনিকা নিকুলশিনা, ওলগা পাখতুশোভা, ওলগা কুরাশোভা এবং ভেরজিলোভকে (পুরুষ) গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার এই চারজনকে ১৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় মস্কো আদালত। সঙ্গে এও বলা হয়, আগামী তিন বছর খেলা দেখতে দেশের কোনও স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন না তাঁরা।
আসলে এঁরা সবাই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের তীব্র বিরোধী। রক ব্যান্ড ‘পুসি রায়ট’-এর সদস্য। এই সংগঠনটি উগ্র নারীবাদী এবং সমকামিতার সমর্থক হিসেবে পরিচিত। নিজেদের আন্দোলনকে বিশ্বের মঞ্চে তুলে ধরার জন্য বেছে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপকেই। এর আগে ২০১২ সালেও পুতিনের বিরোধিতা করায় এই ব্যান্ডের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন থেকেই নিজেদের প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছে ‘পুসি রায়ট’। তবে কোনও শাস্তিকেই ভয় পান না তাঁরা।