নবীনগরে তথ্যমন্ত্রীর সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা আওয়ামী লীগ এমপির
নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে মহাজোটের শরীক দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হলে ‘রক্তের বন্যা’ বইয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। একইসঙ্গে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নবীনগর সফর প্রতিহত করারও ঘোষণা দেন তিনি। গতকাল নবীনগর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আওয়ামী লীগের এক সভায় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল এসব ঘোষণা দেন। তথ্যমন্ত্রী আগামী ২৬শে জুলাই নবীনগর আসবেন। তিনি স্থানীয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাসদ আয়োজিত এক জনসভায় বক্তৃতা করবেন। এছাড়া খাড়ঘর গণকবর ও নবীনগর থানার মালখানায় সংরক্ষিত ’৭১ এর বধ্যভূমি থেকে উদ্ধার শহীদের কংকাল পরিদর্শন করবেন। জাসদ নেতার এই জনসভার কর্মসূচি ঘোষণার পর উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে নবীনগরে। মন্ত্রীর সফর চূড়ান্ত এবং জনসভা আয়োজনের পূর্বানুমতি নেয়ার পর হেফাজতে ইসলাম একইস্থানে একই সময়ে কর্মসূচি দেয়। এরপর গতকাল স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বাদল দলের বিশেষ সভা ডেকে ইনুর আগমন প্রতিহতের ঘোষণা দিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, গতকালের এই সভা মূলত আহ্বান করা হয় তথ্যমন্ত্রী ইনুর নবীনগর সফরকে কেন্দ্র করে। উপজেলা অডিটরিয়ামে এ সভায় যোগ দিয়েছেন এমন একাধিক নেতা জানান, সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল তার বক্তব্যে মন্ত্রী ইনুর জনসভা হতে দেয়া হবে না জানিয়ে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যেকোনো উপায়ে তা রোধ করার আহ্বান জানান। তিনি জাসদ বা জাতীয় পার্টিকে এখানে মহাজোট প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়া হবে না জানিয়ে বলেন, এখানে মহাজোটের কাউকে প্রার্থী করা হলে ‘রক্তের বন্যা’ বইয়ে দেয়া হবে। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলে ঘোষণা করেন। ক্ষুব্ধ এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা চেয়েছিলাম, তথ্যমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা। কিন্তু জাসদের ওই পোস্টারে এসব উস্কানিমূলক লেখার কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিশেষ জরুরি সভা ডেকে আগামী ২৬শে জুলাইয়ের ওই জনসভা বর্জনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার দেব, শিব শংকর দাশ, ইয়াবের হোসেন জামিল, মোস্তফা জালাল, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন নসু, শাহিন সরকার প্রমুখ। সভায় প্রতিটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ইউপি চেয়ারম্যান যোগ দেন। এই বক্তারাও মন্ত্রীর সফর প্রতিহতে বিভিন্ন কর্মসূচির প্রস্তাব করেন।