যেসব শর্তে গৃহঋণ নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা
সরকারি চাকরিজীবীরা শিগগিরই বড় দুটি সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগেই তাদের গৃহ নির্মাণ ঋণ এবং বর্ধিত বেতন দিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পর এটি কার্যকর করা হবে। অপরদিকে, বেতন বৃদ্ধিসংক্রান্ত কমিটির প্রতিবেদন ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া হয়েছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বাড়ানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের স্বল্প সুদে গৃহ নির্মাণ ঋণ দেয়ার ঘোষণা বাজেটে দেয়া হয়েছে। এটিও খুব তাড়াতাড়ি পাবেন তারা।
গৃহ নির্মাণ ঋণের সিলিং সর্বনিম্ন ২৫ লাখ ও সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ২০ বছর মেয়াদি এই ঋণে বাড়ি নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনা যাবে। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে এই ঋণ পাওয়া যাবে। সর্বোচ্চ ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত তা গ্রহণ করা যাবে।
এককভাবে বা গ্রুপভিত্তিক ঋণ নেয়া যাবে। জাতীয় বেতন স্কেলের ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন। পঞ্চম থেকে প্রথম গ্রেডভুক্ত চাকরিজীবীরা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৭৫ লাখ টাকা এবং জেলা সদরে ৬০ লাখ টাকা এবং অন্যসব এলাকায় ৫০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা পাবেন।
নবম থেকে ষষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত চাকরিজীবীরা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৬৫ লাখ টাকা, জেলা সদরে ৫৫ লাখ ও অন্যসব এলাকায় ৪৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের চাকরিজীবীরা পাবেন ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য ৫৫ লাখ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৪০ লাখ টাকা এবং অন্যসব এলাকায় ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া ১৪তম থেকে ১৭তম গ্রেডের চাকরিজীবীরা পাবেন ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৪০ লাখ টাকা, জেলা সদরে ৩০ লাখ টাকা ও অন্যসব এলাকায় ২৫ লাখ টাকা।