বিশ্বকাপ জিতলেও জেল হতে পারে ‘ঘৃণিত’ মদ্রিচের
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। শিরোপা জেতার লড়াইয়ে রবিবার ফ্রান্সের মুখোমুখি হবেন তারা। দলকে ফাইনালে নেওয়ার পেছনের অন্যতম কারিগর ছিলেন তারকা মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচের। তবে দলের এত সাফল্যের পরও তাকে জেলে যেতে হতে পারে। লুকা মদ্রিচের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর তা প্রমাণিত হলে তার পাঁচ বছরের জেল হতে পারে।
ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব ডায়নামো জাগরেবের হয়ে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন লুকা মদ্রিচ। খেলোয়াড়ি জীবনে পাঁচ বছর সেখানে কাটিয়েছেন তিনি। সেই ক্লাবের সাবেক পরিচালক দ্রাভকো মামিচ কর ফাঁকির দায়ে এখন সাড়ে ছয় বছরের সাজা কাটছেন। সেই মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মদ্রিচ আদালতে ডাকা হলে তিনি মামিচের বিরুদ্ধে জবানবন্দী দেন। কিন্তু পরের জবানবন্দীতে তার আগের বলা কথাগুলো অস্বীকার করেন মদ্রিচ।
ক্লাব পরিচালক থাকাকালীন মামিচ নতুন কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে এমনভাবে চুক্তি করতেন, যাতে করে ওই খেলোয়াড় পরবর্তী কোনো ক্লাবে গেলে সেই ট্রান্সফার ফির মুনাফার অংশটা তাকে দিতে হবে। এমনকি লুকা মদ্রিচের সঙ্গেও একই চুক্তি করেন তিনি। ২০০৮ সালে মদ্রিচ সেই ক্লাব ছেড়ে টটেনহ্যামে হটস্পারে গেলে তার ট্রান্সফার ফি হয় প্রায় ১৬.৫ মিলিয়ন ইউরো। ক্রোয়েশিয়ার গণমাধ্যমগুলোর মতে, তার ভেতরে প্রায় অর্ধেক টাকা মামিচকে দিতে হয় মদ্রিচের।
কর ফাঁকির দায়ে গ্রেফতার হওয়ার পর মামিচের এই বিষয়গুলো লোকচক্ষুর আড়াল থেকে বের হতে থাকে। আর সেই কারণে আদালত থেকে মদ্রিচসহ সিমে ভ্রাজাকো, মাতেও কোভাচিচের মতো খেলোয়াড়দের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। প্রথমে মামিচের বিরুদ্ধে জবানবন্দী দিলেও পরে তা অস্বীকার করেন মদ্রিচ। দুর্নীতিগ্রস্ত একটি লোককে সঙ্গ দেওয়ার জন্য ক্রোয়েশিয়ার মানুষদের কাছে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হন তিনি। এই মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য অভিযোগ উঠেছে মদ্রিচের ওপর। সেই অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে পাঁচ বছরের জন্য জেল খাটতে হবে ক্রোয়েশিয়ার এই তারকা মিডফিল্ডারকে।
সূত্র: এক্সপ্রেস.কো