আত-তাক্বউইমুশ শামসি ক্যালেন্ডার প্রচলনের দাবি
বাংলাদেশের সরকারসহ সারা মুসলিম বিশ্বে মুসলিম রচিত পূর্ণাঙ্গ প্রথম ইসলামী সৌর ক্যালেন্ডার আত-তাক্বউইমুশ শামসি প্রচলনের দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ শরীফ এর পক্ষে মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, মুসলিম রচিত পূর্ণাঙ্গ ও প্রথম ইসলামী সৌর ক্যালেন্ডার আত-তাক্বউইমুশ শামসির আগে সকল ক্যালেন্ডার ছিল লুনি সোলার সমন্বিত ক্যালেন্ডার মুসলিম প্রবর্তিত প্রথম ও একমাত্র এই সোলার বা সৌর ক্যালেন্ডার সন গণনা শুরু হয়েছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে বছর এবং এ মাসে আল্লাহ পাকের সাথে মিলিত হন সেই বছর সেই মাসের পহেলা তারিখ পহেলা রবিউল আউয়াল ১১ হিজরী থেকে।
বক্তারা আরো বলেন, তাই এ ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা সকল মুসলমানদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার সহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য এই ক্যালেন্ডার প্রচলন করা জরুরি।
বক্তারা আরো বলেন, মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, তিনি সুর্যকে করেছেন তেজোদীপ্ত আর চাদকে করেছেন আলোকময় আর তার (হ্রাস-বৃদ্ধির )নযিলসমুহ সঠিকভাবে নির্ধারণ করেছেন যাতে তোমরা বৎসর গুনে হিসাব রাখতে পারো আল্লাহ এটা অনর্থক সৃষ্টি করেননি তিনি নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করেন জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য -(সূরা ইউনুস আয়াত৫) এ থেকে বোঝা যায় মুসলমানদের চাদের ক্যালেন্ডার (হিজরী) পাশাপাশি প্রয়োজন একটি সূর্য ভিত্তিক রচিত সৌরসাল বর্তমানে ইরান ও আফগানিস্তানের লুনি সোলার ( চাদ সূর্যের সমন্বয়ে) ক্যালেন্ডার ব্যবহৃত হলেও মুসলমানদের রচিত পূর্ণাঙ্গ সৌরসাল কোন মুসলমান দেশে প্রচলিত নেই। তাই ঈসায়ী গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে নতুন সৌরসন আত-তাক্বউইমুশ শামসি বাংলাদেশসহ সারা মুসলিম বিশ্বে প্রচলন খুবই জরুরী।
বক্তারা জানান, জুলিয়ান ক্যালেন্ডার এ গড়ে এক বছর সমান ধরা হতো ৩৬৫ দশমিক ২৫ দিন কিন্তু বাস্তবে ১০০ বছর সমান হল ৩৬৫ দশমিক ২৪২২ দিন ৩২৫ ঈসায়ী সনে রোমান ক্যাথলিক চার্চ ২১ মার্চ দিন রাত সমান ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে প্রতি বছর ১১ মিনিট করে পার্থক্য হতে হতে ১৫৮২ সালে এ পার্থক্য এসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ দিন ২১ শে মার্চের পরে অনুযায়ী আসতে থাকে সে কারণে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং ১৫৮২ সালে ঘোষিত হয় ১৫৮২ সাল এই সংশোধনীর মূল কারণটি ছিল ধর্মীয় তারপরও কেবল ধর্মীয় কারণে ৩০০ বছর নন ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের এটি অনুসরন করে আসছে
বক্তারা বলেন, যেহেতু প্রত্যেক জাতি তার নিজস্ব সক্রিয় ধারণ করার চেষ্টা করছে সেই হিসেবে মুসলিম জাতির পক্ষ থেকে এই শান্তি শোন আমাদের পালন করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।
সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট চঁাদ ও মহাকাশ গবেষক এবিএম রুহুল হাসান এছাড়া ইসলামের আলোকে সৌরভ শামসি সণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মুফতি এ আজম আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রাজার বাগ দরবার শরীফের শায়েখ উনার সুযোগ্য সন্তান ইমাম আল মানসুর আলাইহিস সালাম।
এ সময় আলোচকগণ সরকারিভাবে বাংলাদেশের পাশাপাশি সারা মুসলিম বিশ্বে এই শামসী ক্যালেন্ডারের প্রচলন ও প্রচারের আহ্বান জানান।