শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে শেরপুরের জোড়া মাথার কন্যা শিশুরা
জন্মগ্রহণের ছয় দিনের প্রান্তে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে শেরপুরে জন্মগ্রহণকারী জোড়া মাথার কন্যা শিশুরা।
শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) তে তাদের মৃত্যু হয় বলে শিশুদের নানা আমিনুল ইসলাম আমাদের সময় ডটকমকে জানান।
গত ৭ জুলাই সিজারিয়ানের মাধ্যমে শেরপুর শহরের মাধবপুরস্থ হেলথ অ্যান্ড নার্সিং হোমে জন্ম হয় তাদের।
শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন দুঃখ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদককে জানান, আগামী আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাবেয়া-রোকেয়ার চিকিৎসকরা আসছেন। তাদের দিয়েই শেরপুরের শিশুদের দেখানোর পরিকল্পনা করে ছিলাম। জীবন-মৃত্যু তো উপরওয়ার হাতে। তারপরও চেষ্টা তো করতে পারতাম।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আমিনুল ইসলাম জানান, শিশুদের জন্ডিস হয়েছিল উচ্চমাত্রায়। দুজনেই নাকি লিভার নেই, একজনের মুখের তালু নেই। এছাড়া দুজনের পাকস্থলিতেও বড় ধরণের সমস্যা ছিল।
শেরপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ চাপাতলী গ্রামে বসবাস শিশুদের বাবা-মায়ের।
আমিনুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, তার মেয়ে রেহেনা (২৩) সংসারি হয়েছে তিন বছর হলো। এটাই তার প্রথম সন্তান। রেহেনার স্বামী স্থানীয় রিকশা চালক।
ঢামেকের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ২৪ মাস বয়সী জোড়া মাথার রাবেয়া-রোকেয়ার চিকিৎসা চলছে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর থেকে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে তাদের একাধিক জটিল ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল অপারেশন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাবেয়া-রোকেয়ার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছেন। খুব শীঘ্রই আরও একটি অপারেশন হবার কথা রয়েছে তাদের।