৫ দিনের রিমান্ডে রাশেদ
ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে গ্রেফতার সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খানের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় শাহবাগ থানায় দায়ের করা তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক সজীবুজ্জামান।
ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। রাজধানীর শাহবাগ থানায় রাশেদের নামে মামলটি করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়। ঢাকা মহানগর হাকিম আমিনুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন যা প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রক্রিয়াধীন। এরপরও গত ২৭ জুন রাশেদ খান কোটা সংস্কার চাই নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন।
এসব মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। এমন অভিযোগে রোববার (১ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগ থানায় রাশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।