শনিবার, ৮ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২৪শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

শোবার ঘরে গোখরা, তিন ঘণ্টায় নিধন ২৭

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ৫, ২০১৭

---

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী মহানগরীর বুধপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ২৭টি গোখরা প্রজাতির সাপ একই রাতে মেরে ফেলা হয়েছে।মঙ্গলবার সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে ওই সাপগুলো মেরে ফেলা হয়েছে। সাপ আতঙ্কে সারারাত ঘুমাতে পারেনি ওই পরিবারসহ আশপাশের লোকজন। এখনও এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। মেরে ফেলা সাপগুলো দেখতে এলাকার সাধারণ মানুষ বাড়িটিতে ভিড় করতে থাকেন।

বাড়ির মালিক মাজদার আলী জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি তার ঘরে ঢুকে দেখেন বিছানায় স্ত্রী ও সন্তান শুয়ে আছে। ঘরের মধ্যে অন্ধকার। ফলে মাটির ওই ঘরে ঢুকেই তিনি আলো জ্বালান। আর তখনই তার চোখে পড়ে একটি সাপের বাচ্চা। সাথে সাথে তিনি লাঠি নিয়ে এসে সেটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। সাপটি মেরে ফেলার পরে তিনি তার স্ত্রী-সন্তানকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বাইরে বের করে দেন। এর কিছুক্ষণ পরে আরো দুটি সাপের বাচ্চা ঘরের মেঝেতে দেখতে পান মাজদার। তখন ওই দুটি সাপকেও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।

মাজদার আরো বলেন, তিনটি বাচ্চা মারার পরে মাজদার আলী ঘরে মধ্যে আরো সাপ থাকতে পারে এমন আতঙ্কে ভুগছিলেন। এরই মধ্যে পরপর আরো কয়েকটি সাপ মেঝেতে বের হয়ে আসে। তখন তিনি আতঙ্কে ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির অন্য ঘরগুলোতে বসবাসকারী দুই ভাই সাইদার আলী ও হায়দার আলীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। এরপর তিন ভাই লাঠি নিয়ে ওই সাপ ক’টিও মেরে ফেলেন পিটিয়ে। একপর্যায়ে তারা ঘরের মাটির দেয়াল খুঁজে দেখতে পান, তার একটি গর্ত থেকে একের পর এক সাপের বাচ্চাগুলো বের হয়ে আসছে। আর বের হয়ে আসা ওই সাপগুলোকে পিটিয়ে মারতে থাকেন তারা। শেষ পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা ২৭টি সাপ পিটিয়ে মারেন তারা।

মাজদার আলীর ভাই সাইদার আলী জানান, সাপের বাচ্চাগুলো হয়তো গরমে মাটির ভেতরে গর্তে না থাকতে পেরে ঘরের মধ্যে বের হয়ে আসছিল। এতে করে পুরো বাড়িতেই সাপ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজনও ওই বাড়িতে জড়ো হতে থাকেন। তারাও তখন থেকেই সাপ আতঙ্কে ভুগতে থাকেন। ফলে সারারাত ওই বাড়িসহ আশপাশের লোকজন প্রায় নির্ঘুম কাটিয়েছেন বলেও দাবি করেন সাইদার আলী।

তবে রাতভর বাড়ির সব গর্তগুলো খুঁড়ে আর কোনো সাপ আছে কিনা- তা তল্লাশি করা হয়। গর্তগুলোতে পানি দিয়েও রাখেন তারা। তবে ২৭টি সাপের বাচ্চা মারার পরে আর কোনো সাপ গতকাল পর্যন্ত ওই বাড়িতে দেখা যায়নি বলেও দাবি করেন হায়দার আলী।