ফের ট্রাম্পের ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা’ আদালতে খারিজ
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছয় মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত খারিজ করেছেন আদালত। এর ফলে নির্বাচনের আগে সমর্থকদের কাছে করা ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি আরো একধাপ পেছাল। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্য থেকে করা ওই আপিল দেশটির বর্তমান অভিবাসন আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করে ওই রায় দেন আদালত।
এদিকে, আদালতের ও রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সিসনস। তিনি বলেন, ‘দেশকে নিরাপদ রাখতেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর আইনসম্মত ক্ষমতা থেকেই ওই নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন।’ সিসনস আরো বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন হামলা এটাই নিশ্চিত করে যে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শিগগিরই হামলা হতে পারে।’ ১ জুন ছয় মুসলিম দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
এর আগে ক্ষমতায় বসেই ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। তবে দেশটির নিম্ন আদালত সে সময় ওই নির্বাহী আদেশও বাতিল করেন।
যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদের প্রশ্রয় দেয়, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার দরকার নেই বলে মনে করেন ট্রাম্প। তাই ক্ষমতায় বসেই নির্বাহী আদেশবলে ছয় মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি। এ নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগও এ সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে ওই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দেন।
তবে ওই স্থগিতাদেশের পরও হার মানেননি ট্রাম্প। তাঁর প্রশাসন ইরাককে বাদ দিয়ে বাকি ছয়টি দেশের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয়। নতুন ওই আদেশবলেও সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচি বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া ১২০ দিনের জন্য শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়।
সংশোধিত ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক ডেরিক ওয়াটসন ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।