কাতার সংকট নিরসনে ‘মধ্যস্থতা চেষ্টা’ শুরু করেছে পাকিস্তান
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাতারের সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোর চলমান সংকট নিরসনে সোমবার ‘মধ্যস্থতা চেষ্টা’ শুরু করেছে পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে একদিনের সফরে সৌদি আরবের জেদ্দাহ পৌঁছেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ইতিমধ্যে সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, বিমানবন্দরে পাক প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান মক্কার গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ। তার সম্মানে একটি ইফতার অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।
নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সৌদি আরব সফরে রয়েছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সার্তাজ আজিজ এবং সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাওজয়া।
বর্তমানে উপসাগরীয় সংকট নিরসনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কাতারের আমির সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ। এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও নতুন করে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিলেন। এছাড়া সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ওয়াশিংটন ডিসিতে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি ও কাতারি প্রতিনিধিরা।
যদিও কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে একটি সমাধান পাওয়া যাবে। তবে আরব দেশগুলো এখনও কাতারের ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গর্গশ সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কাতারের সঙ্গে আলোচনার কিছু নেই। এর আগে আরব বিশ্বের এই সংকটে উদ্বেগ জানায় পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া বলেন, ‘পাকিস্তান মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যে বিশ্বাস করে। আমরা এর উন্নয়নের জন্য সব সময় চেষ্ট অব্যাহত রেখেছি।’
সৌদি আরব এবং কাতারের সঙ্গে উত্তেজনা পাকিস্তানের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। উভয়পক্ষের সঙ্গেই দেশটির দৃঢ় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সৌদি আরব ও কাতারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পরিবার নিয়ে সৌদি আরবে নির্বাসনে ছিলেন নওয়াজ। ওই ঘটনায় তার অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী ছিল কাতারের রাজপরিবার।
নওয়াজের বিরুদ্ধে পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলায় তার পক্ষে আদালতে অন্যতম প্রমাণ হিসেবে কাজ করেছে কাতারি প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো একটি চিঠি। তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান এই ইস্যুতে কতটা নিরপেক্ষ থাকতে পারবে সেটাই দেখার বিষয় বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।