যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল হিলারি ক্লিনটনের। মানবাধিকার ও নারীবাদী ইস্যুতে উচ্চকন্ঠ, রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘ পদচারণা এবং প্রাক্তন ফাস্টলেডি হওয়ার সুবাদে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল তার। তাই ট্রাম্পের বিজয়ে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্যে হয়তো প্রেসিডেন্ট পদে এমন জনপ্রিয় ও উদ্যমী নারী প্রার্থীকে আর পাওয়া যাবে না।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নতুন নারী প্রার্থীকে খুঁজে পেয়েছেন। বর্তমান ফাস্টলেডি মিশেল ওবামাকে তারা পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইছেন। অনেকে এখনই জোরেশোরে প্রচারণা চালানোর পক্ষে মন্তব্য করেছেন।
ফাস্টলেডি হিসেবে মিশেল ওবামার জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে। তবে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে হিলারির পক্ষে প্রচারণায় তার সরব উপস্থিতি, ভাষণ ইত্যাদির কারণে এ জনপ্রিয়তার পারদ আরো উঁচুতে উঠেছে। এ জন্য হিলারির নির্বাচনী প্রচারণার ফাঁকে বারবার প্রেসিডেন্ট ওবামাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মিশেল পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন কি না। এ ক্ষেত্রে ওবামার জবাবও ছিল সাফ না। তার ভাষ্য ছিল, মিশেল রাজনীতিতে নিজেকে আর জড়াতে চায় না। মিশেল নিজেই পৃথক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
গত মার্চে এক অনুষ্ঠানে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হবেন কি না। জবাবে মিশেল বলেছিলেন, ‘ না, আমি সেটা করতে যাচ্ছি না। চমৎকার আর সুন্দর কাজ করার জন্য আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
তবে এতো কিছুর পরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা মিশেলের এ মন্তব্য মানতে নারাজ। ট্রাম্পকে বিজয়ী ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পর টুইটারে পরবর্তী নির্বাচনে মিশেলকে প্রতিদ্বন্দীতা করার অনুরোধ আসতে শুরু করে।
অ্যালিসিয়া নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাহলে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মিশেল ওবামার পক্ষে প্রচারণা এখন থেকেই শুরু হোক।’
সনি নামে একজন লিখেছেন, ‘২০২০ সালে মিশেল ওবামা প্রেসিডেন্ট হবে।’
জ্যাজ নামে এক ছাত্র লিখেছে, ‘মিশেল ২০২০ সালে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলে আমি সব সবজি খাব, স্কুলে ভালোভাবে পড়াশোনা করব।’