লাইফস্টাইল ডেস্ক :অনেক লোকেরই কপালটা বেশ বড় হয়। সামনের দিকে চুল ফেলে নতুন রকমের কাট করে অনেকেই চেষ্টা করেন সেটা লুকোতে।কিন্ত এর কোনোটাই তেমন কাজ করে না।অনেকরই কপালের সামনের দিকে চুল কম হয়। চুল কম হওয়ার জন্য কপালটা আরও বড় ও চ্যাপটা লাগে।চুল পড়তে শুরু করে প্রথমে সামনের দিকে,অথবা মাথার ওপর দিকে – তারপর আস্তে আস্তে ছড়ায় এবং টাক পড়ে যায়।চুল হারানোর কারণ অনেক সময় বংশগত, পুষ্টির অভাব বা এক বিশেষ অবস্হা এ্যালোপেশিয়া এ্যারিআটার জন্যও হতে পারে।নিখুঁত চেহারা ও বড় কপাল ঢাকতে ঘরোয়া কিছু আবশ্যক উপায় আছে যাতে কপালের দিকে চুল গজায়। গরম তেলের ম্যাসাজ থেকে প্যাক লাগানো- অনেক উপায়ই চেষ্টা করে দেখতে পারেন যাতে চুল গজায় এবং টাক পড়া জায়গা ঢাকা পড়ে যায়। এইসব ঘরোয়া সব পদ্ধতি ছাড়াও আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার খাবার দিকেও।
যেমন ধরুন লোহা সমৃদ্ধ খাবার চুল বাড়তে সা্হায্য করে এবং চুল পড়া রোধ করে।দরকারি ভিটামিনের অভাব,উশৃঙ্খল জীবনযাত্রা ও চুলের যথাযোগ্য দেখাশোনা না করা – সব চুল পড়তে সা্হায্য করে।তাই খেয়াল রাখবেন যে ভাল খান ও একটা ভাল জীবন যাপন করুন।স্ট্রেস্ ও একটা বড় কারণ চুল পড়ার, তাই চেষ্টা করুন যতটা পারেন স্ট্রেস নিজের জীবন থেকে দূরে রাখার।খরচা সাপেক্ষ সব চুলের ট্রিটমেন্ট করে কেন পয়সা নষ্ট করবেন?আপনি যখন ঘরোয়া ভাবেই পারেন নিজের চুলের যত্ন ও তার বৃদ্ধির খেয়াল রাখতে।একটা ছোট্ট পরামর্শ – চুল কখনও টেনে জোর করে ঝুঁটি বা খোঁপা বাঁধবেন না।এবং পিছনের দিকে টেনে কোনো চুল সজ্জা করবেন না। এতে কপালটা আরও বড় দেখায়। তাছাড়াও টেনে বাঁধা চুল, চুলের গোড়া আরও দুর্বল করে দেয়।
গরম তেলে ম্যাসাজ্
গরম তেলে ম্যাসাজ্ এটি একটি অত্যাবশ্যক বাড়িতে তৈরী মিশ্রণ যাতে চুল গজাতে সাহায্য করে।নারকেল তেল,আলমন্ড তেল ও ল্যাভেন্ডার ওয়েল ব্যবহার করে খুব আরামদায়ক ও আয়ুষ্কর একটি গরম তেলের ম্যাসাজ খুবই আরামদায়ক।তেলের ম্যাসাজ চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং চুলকে শক্ত রাখে ও পুষ্টি দেয়।
ক্যাস্টর ওয়েল
ক্যাস্টর ওয়েল আপনি ক্যাস্টর ওয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।এটি একটি অন্যতম সেরা তেল যাতে চুল গজানোয় সহায়ক।কপালে ক্যাস্টর ওয়েল লাগান এবং অন্য চুল কম জায়গায় দিন, এবং স্নানের আগে অন্তত এক ঘন্টা রাখুন।তবে খেয়াল রাখবেন যেন বেশি লাগাবেন না,কারণ এতে ত্বকে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
হেনা
হেনা আপনি ঘরোয়া তৈরী প্যাক্ যাতে আমলা,সিকাকাই,ব্রাম্হী ও দই দিয়ে তৈরী করা হয়। অথবা আপনি শুধু হেনার পাত কারি পাতা,জবা পাতা ও মেথীর দানার সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
ব্রাম্ভী
ব্রাম্ভী শুধু স্মরণশক্তি বাড়ানো না,ব্রাম্ভী শাক চুলের পক্ষেও খুব ভালো।ব্রাম্ভী গুঁড়ো মেশান দই-এর সাথে।এটি কপালের সামনের দিকে যেখানে চুল গজানো চান, লাগান।৩০ মিনিট রেখে হালকা স্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
চুল জোর করে টেনে বাঁধবেন না
চুল জোর করে টেনে বাঁধবেন না রাখতে।একটা ছোট্ট পরামর্শ – চুল কখনও টেনে জোর করে ঝুঁটি বা খোঁপা বাঁধবেন না।এবং পিছনের দিকে টেনে কোনো চুল সজ্জা এড়িয়ে চলবেন। এতে কপালটা আরও বড় দেখায়। তাছাড়াও টেনে বাঁধা চুল, চুলের গোড়া আরও দুর্বল করে দেয় – এবং পরিস্হিতি আরও খারাপ করে।
ব্যাঙস্
ব্যাঙস্ ঘরোয়া টোটকা কাজ করতে সময় লাগে।এরমধ্যে আপনি নতুন ধরণের চুলের কাটও করে দেখতে পারেন। সুন্দর করে চুল কাটুন যাতে আপনার কপালটা ঢাকা পড়ে।
চুলের যত্ন নিন
চুলের যত্ন নিন হালকা করে আঁচড়ানো সাজানো চুল এবং সঠিক চুলের যত্ন চুল গজাতে সাহায্য করবে সামনের দিকে। এতে চুল পড়ে যাওয়াও কমবে।
লোহা সমৃদ্ধ খাবার
লোহা সমৃদ্ধ খাবার নিজের খবারে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক পাতা ও লাল মাংস রাখুন। এরা চুল পড়া বন্ধ করে ও চুল গজানোয় সহায়ক।