নিজস্ব প্রতিবেদক : এক দশকে বাংলাদেশে ৭ সাংবাদিকের হত্যার মামলাতেই অভিযুক্তরা দায়মুক্তি পেয়েছেন। এতে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের দায়মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১১তম স্থানে। গত বছর এই অবস্থান ছিল ১২তম। সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় কাজ করা বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিজম-সিপিজে প্রকাশিত সবশেষ বৈশ্বিক অব্যহতি তালিকা থেকে এই তথ্য জানা গেছে। উল্লেখ্য, প্রতিটি দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে কত সংখ্যক সাংবাদিক হত্যার শিকার হচ্ছেন তা হিসেব করে এই দায়মুক্তি সূচক তৈরি করে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিজম-সিপিজে। তাদের এবারের তালিকার এই দায়মুক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশ হলো সোমালিয়া। সেখানেই সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় সবথেকে বেশি দায়মুক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রকাশিত সবশেষ বৈশ্বিক দায়মুক্তি তালিকায় সিপিজে বাংলাদেশের যে ৭ জনের হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিচার না হওয়ার কথা বলছে, তাদের ২ জন মাত্র সরাসরি সংবাদ পেশায় জড়িত ছিলেন। বাকি ৫ জন ছিলেন অনলাইন ব্লগার। এতে দেখা গেছে, ওইসব ব্লগার হত্যাকাণ্ডের মামলায় অব্যাহতি পাওয়া অভিযুক্তদের শীর্ষে রয়েছে ইসলামী জঙ্গিরা। রয়েছে অন্যান্য দুর্বৃত্তরাও।
২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সাংবাদিক হত্যার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এবারের তালিকা করা হয়েছে। এই সময়কালে পাঁচটির বেশি অমিমাংসিত সাংবাদিক হত্যা মামলা রয়েছে এমন দেশের সংখ্যা ১৩টি। গত বছর এই তালিকায় এমন দেশের সংখ্যা ছিল ১৪টি। তালিকার ক্ষেত্রে যে সব মামলায় কারও কোনও শাস্তি হয়নি সেসব মামলাকে অমীমাংসিত হিসেবে ধরা হচ্ছে। আর যেসব মামলায় অপরাধীদের মধ্যে সবাইকে আইনের আওতায় আনা যায়নি সেগুলোকে আংশিক অব্যাহতি হিসেবে ধরা হলেও তালিকাভূক্ত করা হয়নি।
যে ৭ হত্যাকাণ্ডকে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে তারা তালিকা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশের সেই ৭ জনের হত্যাকাণ্ডের তারিখ ও নাম:
২১ মে ২০১৪ সদরুল আলম নিপুল
১৫ জুন ২০১২ জামাল উদ্দীন
৩১ অক্টোবর ২০১৫ ফয়সাল আরেফীন দীপন
৭ আগস্ট ২০১৫ নিলয় নীল
১২ মে ২০১৫ অনন্ত বিজয় দাশ
৩০ মার্চ ২০১৫ ওয়াশিকুর রহমান বাবু
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ অভিজিত রায়
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ আহমেদ রাজীব হায়দার
সিপিজের ওই তালিকায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে হত্যাকারীদের নিশানায় ছিলেন সেক্যুলার ব্লগার এবং মাদক চোরাচালান সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা সাংবাদিক।