নিজস্ব প্রতিবেদক: বাবা মাশুক মিয়াকে খাদিজা কখনো ‘আব্বু’ ডাকেন, কখনোবা ডাকেন ‘আঙ্কেল’। মাকেও কখনো চিনতে পারেন, কখনো পারেন না। মাকে মাঝেমধ্যে ‘আন্টি’ ডাকেন। কখনো কখনো একা বিড়বিড় করেন। কী বলছেন, ভালো করে বোঝা যায় না।
মেয়ে কেমন আছেন—জানতে চাইলে উত্তরে এভাবেই বর্ণনা দেন বাবা মাশুক মিয়া। আজ শনিবার মুঠোফোনে তিনি এসব কথা জানান।
বাবা মাশুক মিয়া জানান, খাদিজা এখন অল্প অল্প খাচ্ছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে খাদিজার বাঁ হাতে অস্ত্রোপচার করা হবে। এর আগে ১৭ অক্টোবর তাঁর ডান হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
মাশুক মিয়া জানান, চিকিৎসকেরা বলেছেন, খাদিজার স্মৃতিশক্তি পুরোপুরি ফিরে আসতে আরও সময় লাগবে। খাদিজা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে চিকিৎসকেরা আশাবাদী।
৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের (ডিগ্রি) ছাত্রী খাদিজা বেগম পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে বদরুল আলমের হামলার শিকার হন। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে প্রথমে খাদিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর অচেতন অবস্থাতেই খাদিজাকে ওই দিন রাতে তাঁর স্বজনেরা স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সংকটজনক অবস্থাতেই খাদিজার মাথায় দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের ৯৬ ঘণ্টা পর চিকিৎসকেরা জানান, খাদিজার আর জীবনসংশয় নেই। তিনি এখনো রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে গত রোববার (২৩ অক্টোবর) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে।