নিজস্ব প্রতিবেদক : মাউন্টিস নামে পরিচিত কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশ তাদের নারী সদস্যদের হিজাব পরার অনুমতি দিয়েছে। এমনকি পুলিশের পোশাকে থাকা অবস্থাতেও তারা এই হিজাব পরতে পারবেন।
কানাডায় বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির মানুষের যে বৈচিত্র্য তা দেখাতে এবং আরো বেশি মুসলিম নারীদের এই পেশায় আসতে উদ্বুব্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কানাডা সরকারের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, মাউন্টিস বা রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশরা লাল কুর্তা, কালো প্যান্ট, চামড়ার হ্যাট আর বুট পরিধান করে থাকেন। প্রায় শতবর্ষ ধরে চলে আসা এই পোশাকে তেমন কোনো রদবদল হয়নি এখন পর্যন্ত। কিন্তু এবারে নারী মাউন্টিসদের জন্য হিজাব ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হলো। এই তথ্য দিয়েছেন কানাডা সরকারের মুখপাত্র বার্ডসলে।
এই বাহিনীর প্রায় এক-পঞ্চমাংশ নারী। তাদের মধ্যে অবশ্য মুসলিম নারীর সংখ্যা জানা যায়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করবে না এমন তিন ধরনের হিজাব পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার আগে। মন্ট্রিলের লা প্রেস সংবাদপত্র বলেছে, মাউন্টিসের অভ্যন্তরীণ এক নথিতে বলা হয়েছে, হিজাব সহজেই ও দ্রুত খুলে ফেলা যায় এবং এটা নারী মাউন্টিসদের কাজকে ব্যাহত করে না।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির এক খবরে বলা হয়, এ বছরের শুরুর দিকেই হিজাব ব্যবহারের অনুমোদন দেয় মাউন্টিস। এ খবর অবশ্য চাউর করা হয়নি। আর এর জন্য কোনো মাউন্টিস সদস্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধও করেনি। তবে লা প্রেস জানিয়েছে, গত দুই বছর ধরেই বেশ কিছু কর্মকর্তা ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক কারণে ইউনিফর্মের বাধ্যবাধকতায় শিথিলতা নিয়ে আসার কথা বলে আসছিলেন। এই দাবির পিছনে ছিলেন মূলত পুরুষ অফিসাররা। তাদের অনেকেই দাঁড়ি রাখার সুবিধার্থে এমন শিথিলতা জারির কথা বলে আসছিলেন।
এর আগে ১৯৯০ সালে মাউন্টিস শিখদের পাগড়ি পরার অনুমতি দেয়। এবারে নারীদের জন্য হিজাবের ব্যবহার অনুমোদন পেলো। প্রসঙ্গত, এর আগে টরেন্টো ও এডমনটন পুলিশও নারী কর্মকর্তাদের হিজাব পরিধানের অনুমতি দিয়েছিল। স্কট বার্ডসলে জানিয়েছেন, সুইডেন ও নরওয়ে ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু রাজ্যেও নারী পুলিশদের হিজাব পরিধানের অনুমতি রয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশও একই নীতি গ্রহণ করে।