নিউজ ডেস্ক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পার্শ্ববর্তী শেখ হাসিনা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তুষার আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি ও শহীদ সালাম বরকত হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নিহত তুষার আহমদে এবং তার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম সৈকত আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় নব্বইয়ের দশকে শিবিরের হাতে নিহত জাবির সাবেক ছাত্রদল নেতা কবিরের স্মরণসভায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে একসঙ্গে সাভার ফিরছিলেন তারা।
ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল গেট থেকে বিআরটিসির সংযুক্ত বগির একটি বড় বাসে ওঠেন। আবদুর রহিম সৈকত সিটে বসেন কিন্তু তুষার আহমেদ মাঝখানের দরজায় ঝুলে দাড়ান। বাসটি বিশমাইল থেকে প্রান্তিক গেট পার হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ডেইরি গেট সংলগ্ন শেখ হাসিনা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে এলে পেছন থেকে একটি বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এসময় দ্রুত গতিতে আসা অন্য একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
পরে তুষারকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তুষার আহমেদের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশনে। চার ভাই-বোনের মধ্যে তুষার ছিলেন তৃতীয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নিহত তুষারের জানাজার জন্য ক্যাম্পাসে লাশ আনার অনুমতি চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনুমতি দেয়নি বলে জানান সৈকত।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা যুগান্তরকে বলেন, লাশ পরিবারের কাছে পৌঁছানোর জন্য সব ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করবে।
তিনি বলেন, ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আছে। তাই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ ক্যাম্পাসে আনার অনুমতি দেয়া হয়নি। যুগান্তর