বুধবার, ৩১শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ১৬ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে যা বললেন রোকেয়া প্রাচী

বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। এই সরকারের হাত ধরে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে নিজের গর্ব নিয়ে সুনাম অর্জন করেছে। দেশের উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার বার বার দরকার। দেশের সার্বিক অবকাঠামোসহ দেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে দেওয়ার জন্য নৌকাকে আবারও বিজয়ী করতে হবে। কথাগুলো বলছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী, নির্মাতা ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া প্রাচী।

কিছু দিন পরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ জোরেসোরে মাঠে নেমেছে দলগুলো। এবার অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ফেনী-৩ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান। নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় বিডি২৪লাইভ ডট কমের সাথে। কথোপকথনের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘এর আগে ২০১৪ সালে আমি সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিলাম কিন্তু সে সময় রাজনৈতিক বিষয়ের ব্যক্তিগত কারণের জন্য পরে আর নির্বাচন করা হয়নি। তবে আমি আওয়ামী লীগের হয়ে গণসংযোগ করেছি।’

কেন নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘আমাদের বর্তমান সরকার উন্নয়নশীল সরকার। আমি এই সরকারকে আগামী একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও বিজয়ী দেখতে চাই। এই সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য নৌকার প্রচার করে যাচ্ছি। এই দেশকে যারা স্বাধীন করেছেন তাদের মধ্যে আমার বাবাও ছিলেন। তার আদর্শ ও আওয়ামী লীগ সরকারের অবদানকে সামনে রেখে আমি নির্বাচনের প্রার্থী হতে চাই।’

নির্বাচনের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। দলের সার্থে আমি সবসময় সেক্রিফাইস করেছি আজীবন করে যাব। নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছি এখন। আর যদি সুযোগ না পাই তারপরও কাজ করবো। আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী আমি বা যে কেউ হোক, সেটা বড় কথা নয়। প্রার্থী যেই হোক ভোট চাই নৌকায়। বিজয়ী হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি।’

অভিনয় ও নির্মাণের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রোকেয়া প্রাচী। তিনি ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি ইতোমধ্যে অভিনবভাবে নিজের এলাকায় প্রচার প্রচারণা করছেন। ২২ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপি এই প্রচারণায় অংশ নেবেন তিনি। এর মধ্যেই সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু কর্মসূচি থাকবে বলেও জানান।

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। নারী হিসেবে নারীদের প্রতিনিধিত্ব, সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব, একই সঙ্গে শ্রমিক নেত্রী হিসেবে শ্রমিক ফেডারেশন ও তৃণমূলের শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।