সোমবার, ২৯শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ১৪ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘দেশকে জেতাতে পারলে বেশি ভালো লাগে’

স্পোর্টস ডেস্ক : এ তো সেই সৌম্য সরকারই? আন্তর্জাতিক ম্যাচে যাঁকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। অবশেষে আজ চট্টগ্রামে পাওয়া গেল সেই হারিয়ে যাওয়া সৌম্যকে। উইকেটের চারপাশে দুর্দান্ত সব শট, আর ব্যাটে রানের ফোয়ারা। এ তো সেই সৌম্য সরকারই!

ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কদিন ধরেই পাল্লা দিয়ে রান করে যাচ্ছিলেন সৌম্য। জাতীয় লিগে দুটি সেঞ্চুরির পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও সেঞ্চুরি। এতটা ধারাবাহিক সৌম্যকে উপেক্ষা করতে পারেননি নির্বাচকরাও। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তাই জরুরি তলব করে সৌম্যকে চট্টগ্রামে ডেকে নিয়ে যাওয়া। আর সৌম্য যেন মাঠে নামলেন, দেখলেন ও জয় করলেন! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ বাংলাদেশের ৭ উইকেটের জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছে তাঁর ৯২ বলে ১১৭ রানের ইনিংস।

দুর্দান্ত এই সেঞ্চুরিতে দেশকে জয় এনে দিতে পেরেছেন বলেই সৌম্যর উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই, ‘অবশ্যই বাংলাদেশের হয়ে ভালো একটা ম্যাচ খেলতে পারলে, ম্যাচ জেতাতে পারলে, বেশি ভালো লাগে। অনেক দিন পরে দেশের হয়ে ভালো একটা ইনিংস খেললাম খুবই ভালো লাগছে।’

আজকের উইকেট ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য আদর্শ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়েও আজ সিরিজে নিজেদের সর্বোচ্চ ২৮৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশকে। পুঁজিটা খারাপ নয় বলে মনে হয়েছিল ম্যাচটা জমজমাট হবে। কিন্তু কিসের কী, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের একচেটিয়া দাপটে শেষ ম্যাচটাও হয়ে গেল পানসে। সৌম্যের সঙ্গে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইমরুল কায়েসও।

১১৭ রানের ইনিংসে ৯টি চার আর আর ৬টি ছক্কা মেরেছেন সৌম্য। তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি। ম্যাচসেরা সৌম্য জয়ের পর প্রশংসা করলেন উইকেটেরও, ‘শুরুতে যখন জিম্বাবুয়ে ব্যাট করছিল, কভার অঞ্চলে ফিল্ডিং করছিলাম। তখনই ভেবেছিলাম, আজ উইকেট অনেক ভালো। তাই যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছি, চেষ্টা করেছি শেষ পর্যন্ত থাকার।’