মধ্যরাতে লুকিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিক, হাতেনাতে ধরা পড়ে কী হল যুবকের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাতে সবার অগোচরে প্রেমিকার বাড়ি যাওয়ার অভ্যাস ছিল প্রেমিকের। নাবালিকা প্রেমিকার বাড়িতে এই সম্পর্ক নিয়ে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই নিষেধ না শুনে নিজের প্রাণ দিয়ে মাশুল গুণলো প্রেমিককে।নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তুরে। ২৭ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম কে ধর্মরাজ। তিনি পেশায় একজন অটোচালক।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ধর্মরাজের। নবম শ্রেণিতে পড়তে পড়তেই পড়াশোনা ছেড়ে দেয় সে। স্থানীয় একটি সুতোর কারখানায় কাজ করত ওই কিশোরী।পুলিশ সূত্রে খবর, এর পর থেকেই রাতে কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতেন ধর্মরাজ। বিষয়টি জানতে পেরে নিজেদের আপত্তির কথা জানান কিশোরীর বাবা এবং মা। তার উপরে ধর্মরাজ অন্য জাতের হওয়ায় এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি ছিল না কিশোরীর পরিবার।
নিষেধ না শুনেই অবশ্য সম্পর্ক চালিয়ে যায় ওই যুগল। রবিবার রাত দুটো নাগাদ কিশোরীর বাড়িতে প্রবেশ করেন তার প্রেমিক ধর্মরাজ। ওই যুবকের এক বন্ধু তখন বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।পিছনের দরজা দিয়ে ধর্মরাজ প্রেমিকার বাড়িতে ঢুকতেই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই কিশোরীর বাবা, মা এবং আত্মীয়রা। পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ওই যুবক। এর পরই কাঠ দিয়ে ধর্মরাজকে বেধড়ক মারধর শুরু করে কিশোরীর পরিবারের লোকরা। এরই মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে পালান ধর্মরাজের বন্ধু।
মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ধর্মরাজের। তখন তার দেহ বাড়ির কাছেই একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে আসে কিশোরীর পরিবারের লোকজন। পরে স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করে পথ অবরোধও করেন মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ অবশ্য সোমবার কিশোরীর বাবা, মা-সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়েছে।