নামাযের মধ্যে বিভিন্ন কথা স্মরণ হলে যা করণীয় !!আপনার জন্য চার পরামর্শ
নামায আল্লাহর সাথে বান্দার যোগাযোগ ও নিবিড়তম সম্পর্ক তৈরির অন্যতম মাধ্যম। বান্দা যখন নামায আদায় করে, তখন তার সাথে আল্লাহর একান্ত আলাপন হয়। এই নিভৃত আলাপন বা যোগাযোগ উপলব্ধির জন্য গভীর মনোযোগের সাথে নামায আদায় করা গুরুত্বপূর্ণ।
তথাপি নামাযে দাঁড়ালে পারিবারিক, ব্যবসায়িক – ইত্যাদি নানা ধরণের চিন্তা অনেককে জেঁকে ধরে, অন্য মনস্কতা গ্রাস করে নেয়। এটা সর্বশ্রেষ্ঠ এ ইবাদতের জন্য ক্ষতিকর। এ থেকে উত্তরণের জন্য তাই এ নিবন্ধে মনোযোগের সাথে নামায আদায়ের চারটি পরামর্শ সংক্ষেপে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
১. সচেতন থাকা
আপনি যখন নামাযের জন্য দাঁড়াবেন, তখন আপনি পূর্ণমাত্রায় সচেতন থেকে নামায আদায় করুন। নামাযের মধ্যে প্রতিটি পদক্ষেপে আপনি স্মরণ করুন যে কী কারণে, কোন উদ্দেশ্যে এক সর্বশক্তিমান সত্ত্বার সম্মুখে আপনি দাঁড়িয়েছেন নামাযের মধ্যে আপনার এমন ধ্যানের সহিত সচেতন থাকা প্রয়োজন, যেনো আপনি দেখছেন সেই মহান ক্ষমতাশালী স্বত্তাকে, যার সম্মুখে আপনি দাঁড়িয়েছেন, নতুবা অন্তত তিনি আপনাকে দেখছেন এবং আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ লক্ষ্য করছেন।
২. অর্থ জেনে বুঝে পড়া
নামাযে যা কিছু পড়া হয়, তার অর্থসমূহ যদি শিখে নিয়ে জেনে বুঝে অর্থের প্রতি খেয়াল রেখে পড়া যায়, তাহলে নামাযে মনোযোগ বাড়ার সাথে সাথে আল্লাহর সাথে সম্পর্কও সুদৃঢ় ও সুনিবিড় হবে।
৩. ধীরস্থিরভাবে আদায়
নামাযের সব কাজগুলো সময় নিয়ে ধীরে ধীরে স্থিরতার সাথে সম্পন্ন করলে তা নামাযের মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। সময় নিয়ে রুকু করা, সময় নিয়ে সিজদাহ করা, দুই সেজদাহর মাঝখানে সময় নিয়ে বসা- ইত্যাদি রোকনগুলো ধীরস্থিরভাবে সময় নিয়ে সম্পন্ন করলে নামাযের ভেতর মনকে স্থির রাখা সহজ হবে।
৪. দোয়ায় বিভিন্নতা
নামাযের দোয়া সমূহের বিভিন্নতা নামাযে মনোযোগ ও আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য সহায়ক একটি উপায়। নামাযের যে সকল স্থানে আবশ্যকতা নেই যে এই দোয়াটিই পড়তে হবে বা এটিই নির্দিষ্ট, সে সকল স্থানে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিভিন্ন সময়ে যে দোয়াসমূহ পাঠ করেছিলেন, সেগুলো শিখে নিয়ে যদি পরিবর্তন করে করে পাঠ করা যায়, তবে নামাযের মধ্যে মন সম্পূর্ণভাবে স্থির থাকবে এবং নামায একঘেয়েমিপূর্ণ রুটিন ওয়ার্ক না হয়ে বরং যথার্থই ইবাদতে পরিণত হবে। এবং এই নামায হবে আল্লাহর সাথে নিবিড়তম সম্পর্ক তৈরির মাধ্যম।
আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।