তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে সরকার: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীন সরকার দেশর তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছেন। বেকারত্বের অভিশাপে দেশের তরুণ সমাজ আজ হতাশ ও বিপন্ন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী দেশে বর্তমানে প্রায় পাঁচ কোটি শিক্ষিত ও কর্মক্ষম বেকার। দেশে কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেনি সরকার। কল-কারখানা প্রতিদিনই বন্ধ হচ্ছে।
পোশাকশিল্পকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ সেক্টর এখন বাংলাদেশিদের হাতছাড়া হয়ে গেছে, গ্যাস-বিদ্যুতের অভাব তো রয়েছেই। তার ওপর বর্তমান দুঃশাসনের কারণে বিদেশি বিনিয়োগ নেই।
‘ব্যাংকগুলো হরিলুট করে ফতুর করে দেয়ায় ব্যবসায়ীরা মুখ থুবড়ে বসে আছেন। সরকারি চাকরিতে দলীয়করণের কারণে উচ্চশিক্ষিত বেকার বেড়েছে।’
প্রশ্নফাঁসের সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সব ধরনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী সহনীয় দুর্নীতির উপদেশ দিচ্ছেন। তার পরও কী প্রধানমন্ত্রী বলবেন- আপনি তরুণদের জন্য অনেক কিছু করেছেন?
‘মেধাবীদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে সরকারি চাকরিতে ঢুকিয়ে আপনি জাতিকে মেধাহীন করেছেন’, বলেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, আজ জাতীয় সড়ক দিবস। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আমজনতা শিশু-কিশোরদের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিল। নিরাপদ সড়কের নামে একটি লোক দেখানো আইন করেছিল কিন্তু আজও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি।
রিজভী বলেন, গণপরিবহনের নৈরাজ্য থামেনি। এখনও শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষের লাশ রাজপথে থেঁতলে যাচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, দেশজুড়ে আবারও শুরু হয়েছে গুপ্তহত্যা। গতকালও নারায়ণগঞ্জে সড়কের পাশে গুলিবিদ্ধ চার যুবক ও উত্তরার দিয়াবাড়ির কাশবনে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ‘এ ছাড়া সারা দেশে এখন আবারও সড়কের পাশে, নদীর ধারে, ঝোঁপঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে যুবকদের রক্তাক্ত লাশ। এর সঙ্গে বিচারবহির্ভূত হত্যা তো প্রতিদিন চলছেই।’
রিজভীর অভিযোগ, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তরুণ-যুবক সমাজকে ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্যই সরকারি পৃষ্টপোষকতায় পাইকারি গুপ্তহত্যা শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। আর এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া হয়েছে ইনডেমনিটি।