হামলায় র্যাবের মনোবল ভাঙে না, চাঙা হয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা যুব সমাজকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাদক বিরোধী অভিযানে নেমেছে। নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। র্যাবের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেছে। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ মাদক বিক্রেতা। বাকিদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চট্টগ্রামে মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আহত র্যাব সদস্যদের দেখেন, কুশলাদি বিনিময় করেন, চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। ফেরার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে গত ১১ অক্টোবরে র্যাবের নিয়মিত চেকপোস্টে চেকিং চলছিল। সে সময় এক সন্ত্রাসী গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল। র্যাব সদস্যরা সিগন্যাল দিলে না দাঁড়িয়ে গাড়ি থেকে নেমে গুলি শুরু করে। ফলে চার র্যাব সদস্য আহত হয়। এদের মধ্যে র্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়েত জামিল ফাহিম, মেজর মেহেদী হাসান, সৈনিক আরিফুল ইসলাম ও লেন্স কর্পোরাল শহীদুল ইসলাম।
স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়েত জামিল ফাহিম চট্টগ্রাম সিএমএইচে ভর্তি আছে। বাকি তিনজন ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন। চারজনই শঙ্কামুক্ত।
‘র্যাব এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করছে বলেই আমরা জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দিক থেকে নিরাপদ রয়েছি। র্যাব শুধু জঙ্গি-সন্ত্রাসী দমন না, মাদক কিংবা ভেজালবিরোধী অভিযান বলুন দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। যে কারণে র্যাবকে সাধারণ মানুষ আস্থা ও নিরাপত্তার প্রতীক মনে করে।
‘যারা আহত হয়েছেন, সন্ত্রাসী আচমকা গুলি কিংবা হামলা করবে এজন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তবে তারা পাল্টা আক্রমণ করায় সন্ত্রাসী মারা গেছেন। আশা করছি বাকি সন্ত্রাসীদের র্যাব এই সূত্র ধরেই ধরতে পারবে। আমি মনে করি র্যাবের মনোবল এই হামলায় একটুও ভাঙেনি। বরং আরও অভিযান পরিচালনা করবে সেজন্য প্রস্তুত রয়েছে।
প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ অন্যায় করলে কিংবা অন্যায় আচরণ করলে তার শাস্তি তাকে পেতেই হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অন্যায় করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কর্মকর্তা পার পাবেন না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজির আহমেদ, র্যাবের মিডিয়া কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ খানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।