ড. কামালের নেতৃত্বে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’র যাত্রা শুরু
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি সামনে রেখে সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করলো ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’। যেখানে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হয়েছে ঐক্য প্রক্রিয়া, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডি।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে’র ব্যানারে বৃহত্তর এ জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার এ ঘোষণা দেয়া হয়।
এসময় জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর মান্না।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘গত তিন দিনের টানা বৈঠক শেষে আমরা একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছেছি।’
লিখিত বক্তব্যে মান্না বলেন, ‘দেশে আজ সিন্দাবাদের ভুত চেপে বসেছে। দেশবাসীকে ঐক্যবব্ধ না হলে এই লড়াইয়ে জয়ী হওয়া যাবে না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে মূল লড়াই শুরু হলো।’
এসময় তিনি বেগম জিয়ার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবিতে ঐক্যফ্রন্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ তুলে ধরেন।
ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোসাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈন হোসেন, জাসদ একাংশের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন প্রমুখ।
তবে এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও একই সময়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।