কারাগারে হঠাৎ দুদকের অভিযান
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার বিকেলে ডাল সরবরাহের দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি অনুসন্ধানী দল। এসময় জেলা কারাগারের বিভিন্ন দরপত্রের নথিপত্র অনুসন্ধান করা হয়। জব্দ করা হয় বেশ কিছু নথিপত্র।
অনুসন্ধানে আসা দুদকের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- উপসহকারি পরিচালক নাসরুল্লাহ হুসাইন, সহকারি পরিদর্শক শাফিউল্লাহ ও বাসেত আলী।
দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুদকের হট লাইন ১০৬ নম্বরে ফোন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে ডাল ক্রয় সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জানানো হয়। পরে দুদকের প্রধান কার্যালয় ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে ডাল ক্রয় সংক্রান্ত অনিয়মের অনুসন্ধানের আদেশ পেয়ে তদন্তে আসে দুদকের কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের চার সদস্যের একটি অনুসন্ধানী দল। এতে কিছু অনিয়মের প্রমাণও মিলেছে।
তিনি আরও জানান, বন্দিদের জন্য ডাল সরবরাহের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। ডাল ক্রয় সংক্রান্ত দরপত্রের সকল কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু নথিপত্র জব্দও করা হয়। এগুলো আরও যাচাই-বাছাই শেষে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকালই প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সরকারি সব বিধি মোতাবেক ডাল ক্রয় সংক্রান্ত দরপত্র সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক নজরুল ইসলাম।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলা কারাগারের বন্দিদের ডাল সরবরাহের জন্য পত্রিকায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। চারজন ঠিকাদার দরপত্র জমা দেন। তাদের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিহাব ডাল মিলের সত্ত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম মিনুকে সরকারি নিয়মানুযায়ী ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয় বলে জানান জেলার এমরান হোসেন। সূত্র: অারটিভি অনলাইন