ইসলামী শরিয়তে ছেলে-মেয়েদের বিয়ের প্রকৃত বয়স কত?
একজন মুমিনের জন্য ইসলামের প্রত্যেকটি বিষয় মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। ইসলামের প্রতিটি হুকুমাত নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক সব বিষয় মানা জরুরি।
বিয়ে ইসলামী শরিয়তে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ছেলেমেয়েদের বিয়ের বয়স হলে তাদের বিয়ে দিতে হয়। তবে ঠিক কত বছর বয়স তাদের বিয়ে দিতে হয়। এ সম্পর্কে একটি বেসরকারি টিভিতে এক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
প্রশ্নটি হচ্ছে, শরিয়তে ছেলেমেয়েদের বিয়ের বয়স কত?
উত্তরে তিনি জানান, বিয়ের জন্য ছেলে বা মেয়েদের বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। ইসলামী শরিয়ত যে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে, সেটি হলো, বিয়ের জন্য বেশি দেরি না করা। কারণ বিয়ে করতে যত দেরি করবেন, ততই অনৈতিক অথবা অশালীন কোনো কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
বিয়ে বিষয়ে শরিয়তের বিধান হচ্ছে, বিয়ের ক্ষেত্রে দেরি না করা যথাসম্ভব দ্রুত বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করা। ছেলে বা মেয়ে উপযুক্ত হলেই বিয়ে দিয়ে দিতে হবে। বিয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি যে এ সময়ের মধ্যে বিয়ে করতে হবে।
তবে সামাজিক যেই নিয়ম-কানুন আছে, সেগুলোও অনুসরণ করা যেতে পারে। যদি অষ্টম শ্রেণিতে পড়া একটি ছেলেকে আপনি বিয়ের জন্য বলেন, সে তো নিজের জীবনের ব্যাপারেই এখনো সচেতন হয়নি, বিয়ের দায়-দায়িত্ব সে কীভাবে বহন করবে। সংসার, দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে বোঝাটাই তার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। ছেলে বা মেয়ের যাতে পরিপক্বতা আসে, কিছুটা শিক্ষা-দীক্ষা হয়, সেগুলোও সামাজিকভাবে বিবেচনার বিষয় রয়েছে।
যদিও ইসলামে বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি, কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক না হয়ে সে বিয়ে করতে পারবে না। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া বিয়ের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।