কম বয়সীদের ফাঁদে ফেলতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেসবুক!
কম বয়সীদের যৌন ব্যবসায়ের ফাঁদে ফেলতে ফেসবুক ব্যবহার করা হচ্ছে আর এ বিষয়টি প্ল্যাটফর্মটির কর্মকর্তারা জানেন, এমন অভিযোগ করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী।
সোমবার (১ অক্টোবর) হিউস্টন-এ হ্যারিস কাউন্টি ডিসট্রিক্ট কোর্ট-এ ওই মামলার নথি দাখিল করা হয়। এতে ওই নারীকে শুধু জেইন ডো নামে পরিচয় দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অধিবাসী ওই নারীর অভিযোগ একজন ফেসবুক ‘বন্ধুর’ বেশে আসা ‘যৌনকর্মী সরবরাহের এক দালাল’-এর মাধ্যমে ১৫ বছর বয়সে তিনি ধর্ষণ, নিপীড়ন ও যৌনকর্মী হিসেবে পাচারের শিকার হয়েছিলেন।
মামলার নথিতে থাকা তথ্য মতে, ওই নারীর সঙ্গে ২০১২ সালে ফেসবুকে এক ব্যক্তির ‘বন্ধুত্ব’ হয়। তিনি ওই নারীকে ফেসবুকের মাধ্যমে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। ওই মেসেজ দেখার কথা জানিয়েছে রয়টার্সও।
আলাপচারিতার এক পর্যায়ে ওই নারী তার মায়ের সঙ্গে একটি বাক-বিতণ্ডার কথা জানানোর পর ওই ব্যক্তি তাকে স্বান্ত্বনা দেন। কিন্তু তাকে তার বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি তাকে নিপীড়ন ও ধর্ষণ করেন, তার ছবি তুলে সেগুলো ব্যাকপেইজ ডটকম-এ পোস্টও করেছিলেন ওই ব্যক্তি।
ফেসবুক ওই যৌনকর্মী সরবরাহের দালালকে শনাক্ত করতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তার দেওয়া পরিচয় মিথ্যা ছিল আর সামাজিক মাধ্যমটিতে যৌনকর্মী পাচারকারীরা আছে এমন তথ্য জেইন ডো-কে ফেসবুক দেয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।
এই মামলা নিয়ে মন্তব্যের জন্য ফেসবুককে রয়টার্স-এর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলেও সামাজিক মাধ্যমটি কোনো মন্তব্য করেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে।