প্রথম স্বামীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ হবে কি না? জেনে নিন ইসলাম কি বলে
তালাক শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলাম ধর্মে আনুষ্ঠানিক বিবাহ বিচ্ছেদকে তালাক বলা হয়। তালাক শব্দের অর্থ ‘বিচ্ছিন্ন’, ত্যাগ করা ইত্যাদি। তালাক হচ্ছে নিরুপায়ের উপায়।
জীবনে চূড়ান্ত বিপর্যয় থেকে স্বামী স্ত্রী উভয়কে রক্ষার জন্য ইসলামে তালাকের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যখন চরমভাবে বিরোধ দেখা দেয়,পরস্পর মিলে মিশে স্বামী স্ত্রী হিসেবে শান্তিপূর্ণ ও মাধুর্য মন্ডিত জীবন যাপন যখন একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়,পারস্পারিক সম্পর্ক যখন হয়ে পড়ে তিক্ত, বিষাক্ত, একজনের মন যখন অপরজন থেকে এমন ভাবে বিমূখ হয়ে যায় যে, তাদের শুভ মিলনের আর কোন সম্ভাবনা থাকেনা; ঠিক তখনই এই চূড়ান্ত পন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইসলামে।
রাসুলে আকরাম (সাঃ) তালাক সম্পর্কে বলেছেন, তালাক অপেক্ষা ঘৃণার জিনিস আল্লাহ তায়ালা আর সৃষ্টি করেননি।
হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত নিম্নোক্ত বাণী হতে তালাকের ভয়াভহতা উপলদ্ধি করা যায়। তোমরা বিয়ে কর কিন্তু তালাক দিয়োনা কেননা, তালাক দিলে তার দরুন আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠে।
তালাকের পর মেয়েরা প্রথম স্বামীর অনিচ্ছায় বা অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবে কি না বা এটা বৈধ হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, যদি আদালতের মাধ্যমে তালাক দিয়ে থাকে, তাহলেই শুধু এই তালাক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তালাক হয়ে যাওয়ার পর ওই স্ত্রীর ওপর স্বামীর আর কোনো অধিকার নেই। তিনি চাইলে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন। এটি জায়েজ রয়েছে।
কিন্তু তালাক প্রক্রিয়া হতে হবে সরাসরি আদালতের মাধ্যমে। মুখে মুখে তালাক বললে হবে না।