ক্যান্সার থেকে মুক্তি মিলবে যে দুইটি ভুল শুধরালে!
ডেস্ক রিপোর্ট।। একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক যুগে এসেও মানুষ যে কয়েকটি রোগের ঔষধ এখনও আবিষ্কার করতে পারেনি তার মধ্যে অন্যতম ক্যান্সার। কয়েক ধরণের ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য হলেও বেশিরভাগ ক্যান্সার এখনও মরণঘাতি রোগ হিসেবে রয়ে গেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু কাজ আমরা করি যার কারণে আমরা ধীরে ধীরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হই। এমন দুইট কাজ করা থেকে যদি আমরা নিজেদের বিরত রাখতে পারি তাহলে লিউকোমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারের মতো গুরুতর ক্যান্সার থেকে আমরা নিরাপদ থাকব।
গাড়িতে উঠে এসি চালানো : মোটর গাড়িতে উঠেই আমরা অনেক সময় এসি চালিয়ে দেই। এমন এসি চালালে অনেক সময়ই শুরুতে রাবার বা মোবিলের মতো দূর্গন্ধ পাওয়া যায়, খেয়াল করেছেন? এটা মূলত বেনজিন ভেপার। এই বেনজিন ভেপার যখন আমরা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি তখন তা আর শরীর থেকে বের করা যায় না। এটা উচ্চ মাত্রার কার্সেনোজেনিক।
আর এই উপাদান লিউকোমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় অনেকাংশে।
প্রতিকারঃ গাড়িতে উঠে কাঁচ নামিয়ে প্রথমে গাড়ির ভেতরকার গরম বাতাস বের হয়ে যেতে দিন। কিছু সময় পর এসি চালু করুন। এতে করে এসির মাধ্যমে বেনজিন ভেপার শরীরে প্রবেশ করবে না।
মোবাইলে কথা বলা : বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনযাত্রার সাথে এমনভাবে জড়িত যার অনুপস্থিতি আমরা কল্পনাই করতে পারি না। আর মোবাইল থাকলে তাতে তো কথা বলা হয়ই। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইলের অন্য প্রান্ত থেকে বলা কথা স্যাটেলাইট থেকে প্রতিফলিত হয়ে আমাদের কানে আসে ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক তরঙ্গ আকারে। কথা বলার সময় আমাদের দেহ এই তরঙ্গের কাছে সরাসরি উন্মুক্ত হয়। এই তরঙ্গ আমাদের শরীরের প্রবেশ করে ব্রেইন অ্যান্ড স্প্যান টিউমার তৈরি করতে পারে। এই ক্যান্সারের প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি।
প্রতিকারঃ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরাসরি মোবাইলে কথা না বলে হেডফোনের মাধ্যমের কথা বললে ক্ষতিকর তরঙ্গ সরাসরি আমাদের দেহের কোষ ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। *ক্যান্সার বিষয়ক এসব পরামর্শ দেন ভারতের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. মিতালী মুখার্জী। উৎস: একুশে টেলিভিশন।