ডুবন্ত বিএনপি আজ খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায়: আমু
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, কোনো মানুষ যদি নদীতে পড়ে যায় সে বাঁচার জন্য খড়কুটো যা পায় তা ধরে বাঁচতে চায়। খালেদা জিয়ার ২০ দল ডুবে যাচ্ছে, ওই খড়কুটো যুক্তফ্রন্ট-গণফ্রন্ট অমুক ফ্রন্ট ধরে ধরে আজকে তারা বাঁচতে চায়, তারা আজকে অনেক বড় জোট করতে চায়। কিন্তু কোনো জোটে কাজ হবে না।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির অব্যাহত ‘মিথ্যাচার’ ও ‘চক্রান্তে বিরুদ্ধে এই সমাবেশের ডাক দেয় ১৪ দল।
আমির হোসেন আমু বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলনের নামে আবার নাশকতা হতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলে তাকে ধরিয়ে দিতে আহ্বান জানান তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমস্ত ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এ দেশে গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম হবে। তাই ১৪ দলের নেতাকর্মীদের প্রতিজ্ঞা-শপথ নিয়ে আগামীতে প্রস্তুতি নিতে হবে।
বিরোধী রাজনৈতিক জোটের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আন্দোলনের ক্ষমতা তাদের নেই। আন্দোলন তারা করবে না।
আমু বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তারা যদি প্রমাণ করতে পারতো যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, তাহলে আজকে তাদের কথায় যুক্তি থাকতো। তারা কোনো সংগ্রাম করে না, তারা পরাজয় মেনে নিয়েছে।
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় জোট, মানুষের জোট। সেই জোট শেখ হাসিনার সাথে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ১৬ কোটি মানুষ আজকে যে উন্নয়ন পেয়েছে, পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর, মেট্রোরেল বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। মানুষ এটা দেখতে চায়। বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে সারা দুনিয়াতে তাক লেগে গেছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মানুষ দেখতে চায়। বিশ্ব নেতারা শেখ হাসিনার মঙ্গল কামনা করছেন। তিনি আবার জয়যুক্ত হয়ে ফিরে আসুন-এটাই তারা কামনা করছেন। শেখ হাসিনা আজকে জাতীয় নেতা নন, বিশ্ব নেতৃত্বের অন্যতম নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন।
১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে এই কর্মী সমাবেশ সঞ্চালন করেন ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক শাহে আলম মুরাদ। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, জেপি মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, বাংলাদেশ জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান প্রমুখ।