মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ইভিএমের পক্ষে মত দিলেন প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। শুক্রবার সকালে নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কক্ষে সাক্ষাৎ করেন পম্পেও। এ সময় আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পক্ষে মত দেন। এছাড়া পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। একনেক ইভিএম প্রকল্প অনুমোদন করেছে এবং আমরা তা ব্যবহার করতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘তার সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু ও নির্বাচন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকুক এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। এ সময় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি পূর্ণ সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখার আশা প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান।
নির্বাচন বিষয়ে গুতেরেস আশা প্রকাশ করেন, ‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।’ বৈঠকে একাধিকবার তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, তিনি বাংলাদেশকে খুব ভালোবাসেন।
এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা প্রশ্নে তার অবস্থানের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করে গুতেরেস বলেন, ‘আপনি অনেক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের জন্য রোল মডেল হতে পারেন’।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে তাদের যথাযথ পুনর্বাসন শুরু করা উচিত।’
৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে নিউইয়র্কে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লন্ডন হয়ে আগামী ১ অক্টোবর তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন। সূত্র: বাসস।