গল্পটা হতে পারতো অন্যরকম
স্পোর্টস ডেস্ক : শিরোনামটা হতে পারতো ‘এশিয়া সেরার মুকুট টাইগারদের মাথায়’। লিটন-মিরাজে দুর্দান্ত শুরুর পর এক বুক আশা বেঁধেছিল, এবার আর হারায় কে আমাদের। ৩০০ রান না হোক অন্তত ২৮০ রান তো হবেই। অধিনায়ক মাশরাফির বুদ্ধিতে এদিন ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গে মেহেদী মিরাজকে পাঠিয়ে চমক দিয়েছিল।
এই দুজনের জুটি থেকে আসা ১২০ রান ভুলিয়ে দিয়েছিল গত পাঁচ ম্যাচের ওপেনিং জুটির টানা ব্যর্থতার গল্প।
মিরাজের বিদায়ের পর লিটনের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। একটা ফাইনাল জয়ের স্বপ্ন দেখাই যায়। কিন্তু দারুণ শুরুর পরও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় থামতে হয় ২২২ রানে।
এই ২২২ রানের লক্ষ্যটা ভারতের কাছে তো কিছুই না। আবুধাবিতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর পেছনেও নিশ্চয় কারণ ছিল রোহিত শর্মার।
কিন্তু রোহিতের সব পরিকল্পনা ধসে দেয়ার পরিকল্পনাও যে মাশরাফি করেছে তার প্রমাণ তো ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত ভারতকে জয়ের অপেক্ষায় রাখাতেই বলে দেয়।
এই অল্প রানের লক্ষ্য টপকাতেও ভারতের খেলতে হয়েছে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত। বাংলাদেশ হয়তো খেলায় হেরেছে কিন্তু কোটি সমর্থকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে ঠিকই।
যে বাংলাদেশ দল তামিম-সাকিবকে ছাড়া ফাইনালে উঠেছে, ফাইনালে একটা দল হিসেবে খেলে ভারতের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের হাঁসফাঁস অবস্থা করে দিতে পারে তাদের ‘পরাজিত দল’ বলতে একটু হলেও ভাবতে হবে।
আবুধাবির স্লো উইকেটে মুস্তাফিজ-মাশরাফিরা দ্রুতই ফিরিয়েছে শিখর ধাওয়ান আর রোহিত শর্মার মতো ব্যাটারদের। আম্বাতি রাইডু তো দাঁড়াতেই পারেনি উইকেটে এসে।
মহেন্দ্র সিং ধোনির ৬১ বলে ৩৭ রানের ইনিংসটা যখন বাংলাদেশকে ছিটকে দিচ্ছিল ম্যাচ থেকে তখন তাকে ফেরালো মুস্তাফিজ।
শেষদিকে ভুবনেশ্বর কুমার আর রবীন্দ্র জাদেজার ৪৫ রানের ইনিংস পুরোপুরি ছিটকে দেয় বাংলাদেশকে।
শেষ ওভারে যখন ৬ রান দরকার, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আসেন বোলিংয়ে। পাঁচ বলে পাঁচ রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করে শেষ বলে নেয়া কেদার যাদবের লেগ বাইতে ১ রান আরেকবার ফাইনালে জয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয় বাংলাদেশের।
গোটা টুর্নামেন্টে ভালো খেলায় সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠে শিখর ধাওয়ানের হাতে। ফাইনালে অনবদ্য শতক হাঁকানোয় ম্যাচ সেরা হোন লিটন দাস।