তরমুজের ক্ষমতাও ভায়াগ্রার সমান!
ডেস্ক রিপোর্ট ।। যৌন অক্ষমতা দূর করতে তরমুজের ক্ষমতাও ভায়াগ্রার সমান! এ বিষয়ে যাঁরা দুর্বল বা অক্ষম তাঁদের জন্য তরমুজই সেরা ‘প্রাকৃতিক ঔষধ’। গবেষকদের এমন দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদেনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, শুধু তরমুজই নয় প্রকৃতিতে এমন অনেক সবজি ও ফলসহ উদ্ভিদজাত উপাদান আছে যা ভায়াগ্রার মতোই কাজ করে।
তিনি বলেন, প্রাণ রাসায়নিক পদ্ধতি’র(মেটাবলিজম সিসটেম) মাধ্যমে মানুষসহ প্রতিটি প্রাণি বেঁচে থাকে। মানুষের প্রাণ রাসায়নিক প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে দরকার পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিমানসম্পন্ন নিরাপদ খাবার। সঠিকমাত্রায় খাদ্য পেলে দাম্পত্যজীবন স্বাভাবিক রেখে মানুষ ১০০ বছর থেকে ১২০ বছর পর্যন্ত সহজেই বাঁচতে পারে। আমাদের দেশেও অনেকে আছেন সঠিক খাদ্যের জোরে শতবছর বেঁচে থাকার পরেও তাদের দাম্পত্য জীবনে ভাটা পড়েনি।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিটি মানুষকে দিনে কমপক্ষে ৪০০গ্রাম সবজি ও ফল খাওয়া দরকার। সেই সঙ্গে শারীরিক শ্রম দেয়াও দরকার।
টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের বরাতে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার পরিবেশিত খবরে জানা যায়, তরমুজের ওই উত্তেজক গুনের কথা। বিশ্ববিদ্যালয়টির ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল ইমপ্রুভমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ও গবেষক ভিনু পটেলের নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞের গবেষণায় উঠে আসে ওই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তাদের দাবি, যৌনক্ষমতায় যাঁরা দুর্বল বা অক্ষম তাঁদের জন্য তরমুজই সেরা ‘প্রাকৃতিক ঔষধ’। তরমুজে থাকা সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড-ই এই ক্ষমতার জন্য দায়ী। এর উপস্থিতি যে তরমুজে এত বেশি পরিমাণে রয়েছে এর আগে বিশেষজ্ঞরা তা বুঝে উঠতে পারেননি। শুধু সিট্রোলিনই নয়, তরমুজে থাকা আরজিনিনকেও এই গুণের অন্যতম ‘কারণ’ বলছেন, ভায়াগ্রার মতোই রক্তনালিকার কাজ স্বাভাবিক ও সহজ রেখে যৌন ক্ষমতাকে কিছুটা বাড়িয়ে দেয় আরজিনিন।
নিয়মিত খাদ্যতালিকায় তরমুজ রাখলে যৌনক্ষমতা তো বাড়েই, উপরন্ত তরমুজের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মানসিক চাপ কমায়। তাঁদের মতে, শারীরিক সম্পর্কের অন্তরায় এই মানসিক চাপও। প্রস্টেট ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার রুখে দিতেও ওস্তাদ তরমুজ। এ ছাড়া তরমুজে থাকা লিকোপেন হাড়ের স্বাস্থ্যকে রক্ষা করে।