রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা হবেই: মওদুদ আহমদ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ইত্যাদি দাবি নিয়ে জনসভার জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। পুলিশ এমনিতেই বলে দিয়েছে শনিবার সমাবেশ না করতে। পরে আমরাই পুলিশের কাছে ৩০ তারিখে জনসভার জন্য আবেদন জানিয়েছি এবং ইনশাআল্লাহ ৩০ তারিখে জনসভা হবেই।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য আ স ম হান্নান শাহ’র ২য় মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে নাগরিক অধিকার ফোরাম। সংগঠনের সহসভাপতি মো. মজিবর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, সাবিরা নাজমুল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মওদুদ বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া যখন নতুন শুরু হল, তখন সবাই এটিকে স্বাগত জানালেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির অন্য নেতারাও স্বাগত জানালেন। এই স্বাগতটা মাত্র একদিন-দুদিন ছিল। যখন তারা দেখল বাংলাদেশে নতুন একটা আন্দোলন সৃষ্টি হচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে এবং নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে তখন তারা গালাগাল শুরু করে দিল! প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে বললেন, সব দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোররা একত্রিত হয়েছেন। একই কাজ কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনের সময়ও করা হয়েছিল।
মওদুদ আহমদ বলেন, নতুন প্রজন্ম আর আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম দিকে সরকার তাদেরকে সমর্থন জানালেও পরে প্রতারণা করেছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও সরকার একই আচরণ করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে এই নতুন প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করবে। গত নয়-দশ বছরে অর্থ ছাড়া কারও চাকরি হয়নি। জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই আইনটা করা হয়েছে নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার প্রকাশিত বইটির কিছু অংশ পড়েছেন জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, তিনি বইতে লিখেছেন কীভাবে সরকার দেশের সর্বোচ্চ বিচার বিভাগের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছে। কিভাবে বিচার বিভাগ দখলে নিয়েছে। এস কে সিনহাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বইটি রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে ঐতিহাসিক দলিল বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ।