তৃতীয় বিয়েতে ফেঁসে গেলেন ভাইস চেয়ারম্যান
এবার তৃতীয় বিয়েতে ফেঁসে গেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন। তিনিসহ তার দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তৃতীয় স্ত্রী সুমাইয়া আলম। ওই মামলার সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে সোমবার রাতে পুলিশ নাজিম উদ্দিনের বাসায় হানা দিয়ে তৃতীয় স্ত্রীর শিশু সন্তানকে উদ্ধার করেছে। যেই শিশুকে অস্ত্রের মুখে জোর করে তুলে নেয়ার অভিযোগ ছিল নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে ফতুল্লার ভূইগড়স্থ নাজিমউদ্দিনের বাড়িতে হানা দিয়ে শিশু নাজিলা আক্তার মিতুকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের ৩য় স্ত্রী সুমাইয়া আলম ঢাকার ডেমরা এলাকার সেতুবন্ধন টাওয়ারে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। তিনি সেখান থেকে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সুমাইয়া আলম জানান, প্রথম দুই স্ত্রীর বিষয়টি গোপন রেখে দুই বছর আগে তাকে বিয়ে করেছিলেন নাজিম উদ্দিন। এরপর তাকে ভূইগড়ের নিজ বাড়িতে তুলেছিলেন তিনি। আর প্রতি রাতেই মদ্যপ অবস্থায় তাকে মারধর করতেন নাজিম উদ্দিন। এর মধ্যে নাজিম উদ্দিন ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তার কাছে। পরে আগের দুই বিয়ের খবরও জানাজানি হয়ে যায়। তখন প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর নির্যাতন থেকেও রেহাই পাননি সুমাইয়া।
তিনি আরও জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে ২১ মাস বয়সী সন্তান নাজিলা আক্তার মিতুসহ তাকে বাসা থেকে বের করে দেন নাজিম উদ্দিন। তিনি তার সন্তান নিয়ে ডেমরা এলাকার সেতুবন্ধন টাওয়ারে মায়ের বাসায় গিয়ে ওঠেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর নাজিম উদ্দিন তার দুই স্ত্রী মনোয়ার ও শামীম আরাসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে সুমাইয়ার পরিবারের লোকজনদের মারধরসহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২১ মাসের শিশু সন্তান নাজিলা আক্তার মিতুকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সুমাইয়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিশুটিকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তার মায়ের হেফাজতে দেন।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের জানান, আদালতের নির্দেশে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার শিশুটিকে আদালতে হাজির করা হবে।