সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসেছে আরও সুখবর
নির্বাচনের আগে আবারও সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে সরকারের কাছ থেকে নেয়া গাড়ি কেনার ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে না। পাশাপাশি কেউ অক্ষম (মানসিক প্রতিবন্ধী বা পঙ্গু) অবস্থায় অবসরে গেলে তাকেও ঋণ ও সুদের টাকা পরিশোধ করতে হবে না। পরিবারের কাছ থেকেও এ টাকা আদায় করা হবে না।
একই সাথে চাকরিরত অবস্থায় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর মৃত্যু হলে পরিশোধ করতে হবে না সরকারের কাছ থেকে নেয়া গৃহনির্মাণ ও মেরামত ঋণ। পাশাপাশি অক্ষম (মানসিক প্রতিবন্ধী বা পঙ্গু) অবস্থায় ঋণ গ্রহীতা অবসরে গেলে তাকেও ঋণ ও সুদের টাকা পরিশোধ করতে হবে না।
জানা গেছে, সম্প্রতি এমন বিধান অন্তর্ভূক্ত করে প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের কাছ থেকেও এ টাকা আদায় করা হবে না। সম্প্রতি এ বিধান অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে।
বিধান অনুযায়ী মৃত্যুর পর সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীর পেনশন বা গ্র্যাচুয়িটি থেকে ঋণ ও সুদ কেটে রাখার শর্ত রয়েছে। এ শর্তের পাশাপাশি এখন মওকুফ করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বড় ধরনের দুটি সুবিধা দেয়া হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। প্রথমটি হচ্ছে ৫ শতাংশ হারে গৃহনির্মাণ ঋণ। বেতন গ্রেড অনুসারে এ ঋণ মিলবে ৩৫ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। মোট সুদ হার ১০ শতাংশ। এরমধ্যে সরকার পরিশোধ করবে ৫ শতাংশ এবং ঋণ গ্রহীতা দেবে ৫ শতাংশ। অক্টোবর থেকে ঋণ দেয়া শুরু হবে।
এর আগে দেয়া হয় গাড়ি কেনার সুদমুক্ত ঋণ সুবিধা। প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া প্রশাসন ক্যাডারের উপ-সচিবরা ৩০ লাখ টাকা করে গাড়ি কেনার ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন। ‘বিশেষ অগ্রিম’ নামের এ ঋণের বিপরীতে কোনো সুদ দিতে হয় না। বরং ঋণের টাকায় কেনা গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, তেলের খরচ ও চালকের বেতন বাবদ সরকার তাদের মাসে আরও ৫০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে
খসড়া গেজেটে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ে কর্মরত অবস্থায় যেসব কর্মকর্তা ঋণ পরিশোধ না করেই মারা গেছেন, তাদের পক্ষ থেকে ঋণ ও সুদ মওকুফের জন্য আবেদন করতে হবে। অর্থ বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটি বরাবর এ আবেদন করতে হবে। পরে ওই কমিটি তাদের ঋণ ও সুদ মওকুফের বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবে।
২০১৭ সালে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার জন্য এককালীন সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আরেকটি গেজেটে উল্লেখ করা হয়, সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব ও সিনিয়র সচিব ছাড়াও বিসিএস (ইকনোমিক) ক্যাডারের যুগ্ম প্রধান বা তার উপরের কর্মকর্তা এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম প্রধান (ড্রাফটিং) থেকে তার উপরের কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার সুবিধা পাবেন। তবে এসব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা এ ঋণ সুবিধা পাবেন না।
ওই গেজেটে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারের অনুমতি ছাড়া ঋণের টাকায় কেনা গাড়ি কেউ বিক্রি করতে পারবেন না। এছাড়া ঠিকমতো কিস্তি পরিশোধ না করলে আসলের সঙ্গে ১৫ শতাংশ হারে সুদ যোগ হবে। কর্মকর্তারা সমপরিমাণ ১২০টি কিস্তিতে সুদবিহীন এ ঋণ পরিশোধ করবেন।