যুবতীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত প্রেমিক!
ফোনে প্রেম পর্ব চলছিল। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে! তাই তো প্রেমিকাকে এক নজর দেখার জন্য মনকে কোনো ভাবেই মানাতে পারছিলেন না প্রেমিক। নাছোড় বান্দা প্রেমিক বার বার দেখা করার প্রেমিকার কাছে আহ্বান জানাতে থাকেন।
এখানেই ঘটে বিপত্তি! কেননা, প্রেমিকা শুধু দেখা করতে নারাজ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, টাকা না ছাড়লে প্রেমিকের কাছে ধরা দেবেন না তিনি।
প্রেম মানে না কোনো বাধা তা আরও এক বার প্রমাণ হলো। প্রেমিকাকে দেখার আশায় নিজের প্রচুর অর্থ খরচ করতেই হল প্রেমিককে। সেটিও আবার এক বার নয়। দফায় দফায়। এভাবে করে ১৬ লাখ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানোর পর ওই প্রেমিক বুঝলেন, এসবের পুরোটাই ফাঁদ ছিল। আর সেই ফাঁদে পা দিয়েই প্রতারিত হয়েছেন তিনি।
এম শরৎ বাবু নামের ওই প্রেমিক আর কোনো উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন।হায়দরাবাদের সাইবার ক্রাইম পুলিশকে তিনি জানান, নিঃসঙ্গতা কাটানোর বিজ্ঞাপন দেখে একটি ফোন নম্বরে তিনি যোগাযোগ করেন। ১১০০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশনও করান। তারপর তাকে একটি মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। সেই মেয়েটির সঙ্গে তার ফোনে প্রেম। এরপর দেখা করার জন্য বিভিন্ন অছিলায় তার থেকে এক এক করে ১৬ লাখ টাকা লুফে নেয় প্রতারক চক্র।
অভিযোগের পর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এম শরৎ বাবু নামে ওই ব্যক্তি ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমেই টাকা দিয়েছেন। যে অ্যাকাউন্টটিতে টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটি কলকাতার। তবে সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে শিলিগুড়ি থেকে। এর পরই তদন্তে স্বার্থে পুলিশ শিলিগুড়িতে যান।
এ ঘটনায় শিলিগুড়ি থেকে এক যুবক ও যুবতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।জানা গেছে, ওই দু’জন মোবাইল ফোনে বন্ধুত্ব করিয়ে একাকিত্ব কাটানোর কারসাজির ফাঁদ পেতে আসছিলেন৷ আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে এম শরৎ বাবু সর্বস্বান্ত হয়েছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ধারণা, আরও অনেককে নিশ্চয় প্রতারিত করেছে সর্বস্বান্ত করেছেন ওই দু’জন। হায়দরাবাদের পুলিশ তাদের জেরা করে সেই তথ্য জানতে চায়। তারা ওই দু’জনকে নিয়ে হায়দরাবাদে পাড়ি জমিয়েছেন৷