বিয়ের আগে সঙ্গীকে চিনবেন যেভাবে
লাইফস্টাইল ডেস্ক: একজন নয় দু’জন মানুষের গুণেই সুন্দর হয় দাম্পত্য জীবন। তাই মানুষটাকে ভাল করে চিনে-জেনে নিয়ে তবেই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো খুব জরুরি।
বুঝে নিন হবু সঙ্গীর মন-মেজাজ। তার এসব স্বভাব থাকলে এক সঙ্গে সংসার করার বিষয়েও সাবধান থাকুন।
দোষে-গুণেই মানুষ হয়। সঙ্গীর খারাপ-ভাল নিয়েই তাকে আপন করতে হয়, কিন্তু যদি দেখেন আপনার সঙ্গী যে কোনও ছোট বিষয়েও তুমুল অশান্তি করছেন, সব কিছুতেই কোনও না কোনও ইস্যুতে অসন্তুষ্ট হওয়াই তার স্বভাব। তা হলে বুঝবেন, তিনি খুব দাম্ভিক ও আপনার মর্যাদাও তার কাছে কম।
সারাক্ষণ কেবল নিজের কথাই ভেবে যান তিনি? আপনি কিছু বলতে গেলেও আপনার কথার গুরুত্ব না দিয়ে কেবল নিজের কথাই বলে চলেন? তা হলে সাবধান! স্বার্থপরতা দিয়ে জীবন চলে না। প্রয়োজনে কথা বলুন তার এই স্বভাব নিয়ে, ভুল শুধরাতে পারলে তবেই বাকি জীবন এক সঙ্গে থাকার কথা ভাবুন।
যে কোনও সিদ্ধান্ত তিনি কি জোর করে চাপিয়ে দেন আপনার উপর? আপনার গতিবিধি, ইচ্ছা-অনিচ্ছা সবই কি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এমনকি আপনি কোথায় কতটুকু কথা বলবেন, কোন বন্ধুকে কতটা মর্যাদা দেবেন— সবকিছুতেই অযাচিতভাবে নিজের আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তা হলে জানবেন, আপনার মূল্য তার কাছে নগণ্য।
ভালবাসার সঙ্গে আরও কিছু এক্স ফ্যাক্টরের উপরই দাঁড়িয়ে থাকে সম্পর্ক। এর জন্য একে-অপরকে বোঝা যেমন জরুরি, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা। কমিটমেন্ট বা কোনও দায়বদ্ধতা থেকে তার পালিয়ে বাঁচার প্রবণতা থাকলে সতর্ক হোন। প্রয়োজনে সরাসরি কথা বলুন এ নিয়ে।
সারাক্ষণ অন্যের সমালোচনা বা চটুল কোনও বিষয় নিয়েই কথা বলে যান তিনি? এমন বিষয় আপনার পছন্দ না হলে তাকে তা বলুন। অনেক সময় সঙ্গীর পছন্দ না হলে এমন কিছু অভ্যাস থেকে সরে আসেন অনেকেই। তবে বহু বার বলার পরেও সঙ্গী এ অভ্যাস না বদলাতে পারলে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
কথায় কথায় মিথ্যে বলা বা চুরির প্রবণতা আছে নাকি তার! অসাধু কাজে আসক্ত থাকলে বা ভয়ানক মাদকাসক্ত হলেও সাবধান হন। এই অভ্যাসগুলো কেউই রাতারাতি বদলে ফেলতে পারেন না। তাই এমন হলে নিজেই সরে আসুন এই সঙ্গ থেকে।