খালেদা জিয়াকে জোর করে কারাগারের বিশেষ আদালতে আনা হয়েছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জোর করে কারাগারের অভ্যন্তরে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ইভিএম বর্জন, জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক জোট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে (বুধবার) কারাগারের অভ্যন্তরের আদালতে আমাদের আইনজীবীরা কেউ যান নাই। যে দুই-একজন গিয়েছিলেন তারা দেখেছেন একটা ছোট কুঠরী অন্ধকার গহ্বর। সেখানে বসবার পর্যন্ত কোনো জায়গা নাই। সেটাকে আদালতে রূপান্তরীত করা হয়েছে। সেখানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) সেখানে বলেছেন, “আমার বিচার কী করবেন আপনারা করেন। ন্যায় বিচার হবে না আমি জানি। আপনারা আমাকে কারাগারের যে কক্ষে রেখেছেন সেখান রেখেই আপনারা বিচার করুন। আমি আপনাদের এখানে আর আসব না।” এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের আসল চরিত্র ও চেহারা।’
পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরের আদালত বসিয়ে বিচার করার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, এখনো কারাগারের অন্ধকারে বসে সেই সংগ্রাম করছেন। সেই দেশনেত্রীর মামলার বিচারের আদালত নিয়ে যাওয়া হয়েছে পরিত্যক্ত কারাগারের অভ্যন্তরে। এটা একটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। বাংলাদেশের সাধারণ যেকোনো নাগরিকের জন্যে তার যে অধিকার আছে সেই অধিকারেও এটা করা সম্ভব নয়। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন হয়েছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা শুনেছি সেই সমস্ত স্বৈরাচারি দেশে এ রকম ক্যামেরা ট্রায়াল হয়। আজকে স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্যাগ শিকার করেছেন, যিনি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন যাকে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকার অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখেছিলো তাকে আজকে কারাগারের ভেতরে আদালত বসিয়ে বিচার করা হচ্ছে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রমুখ।
