শুক্রবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৪ঠা কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বিএনপিকে শর্ত: রাষ্ট্রপতি পদ চান এরশাদ

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে (এরশাদ) পাশে পেতে মরিয়া বিএনপি। এরশাদের জাতীয় পার্টিকে ভিন্ন কৌশলে রেখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে দলটি। সমঝোতা হলে এক এবং অভিন্ন কৌশল নিয়ে নির্বাচনী জোট হবে বিএনপির সাথে। জয়ী হলে জোটের অঙ্গীকার অনুযায়ী এরশাদ হবেন প্রেসিডেন্ট।

জানা গেছে, এরশাদের জাতীয় পার্টির একাধিক নেতার সঙ্গে বিএনপির জোট গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের একাধিক নেতা জাতীয় পার্টির একাধিক নেতার সঙ্গে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহাজোট সরকারের মন্ত্রীসভার একজন সদস্য ও জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিএনপির নেতারা আমাদেরকে বলেছেন আওয়ামী লীগ ছেড়ে জাতীয় পার্টি বিএনপির সাথে জোট করে নির্বাচন করলে সেই জোটই জয়লাভ করবে। আর সরকার গঠনে জাতীয় পার্টি যা চাইবে বিএনপি তাতেই রাজি। বিএনপির নেতারা মনে করেন, এরশাদের জাতীয় পার্টিকে সাথে নিয়ে জোট করে নির্বাচন ও সরকার গঠন করতে পারলে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে ফেলতে সময় লাগবে না।

তবে সরকারের মন্ত্রীসভায় থাকা জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা মনে করেন বিএনপির এসব প্রস্তাব কথার কথা। নির্বাচনী জোট হলে আওয়ামী লীগের সাথেই হবে। বিএনপির সাথে নয়। এরশাদ সাহেব বিএনপিকে খুব ভালো করেই চেনেন। তাই বিএনপির সাথে জাতীয় পার্টির জোট হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে জোট করে নির্বাচন করে। মহাজোট জয়লাভের পর সরকারে জোটের একাধিক নেতা মন্ত্রীসভায় স্থান পান। এতে জাতীয় পার্টি এরশাদের তিন জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী স্থান পেয়েছেন। এরমধ্যে একজন পূর্ণ মন্ত্রী এবং দু জন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়াও পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় আছেন এইচ এম এরশাদ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্বে রয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। তিনিও পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করছেন।

মহাজোট সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্য ও জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতা প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু জানান, প্রধানমন্ত্রী ও মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে গত দশ বছরে দেশের উন্নয়নে ও মানুষের কল্যাণে নেয়া প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে আরও এক টার্ম ক্ষমতায় থাকা উচিত। জাতীয় পার্টিও সেই প্রত্যাশাই করে। তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন চ্যালেঞ্জের হবে। যদিও সব জাতীয় নির্বাচনই চ্যালেঞ্জের। তবু মনে করি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিটি দলের জন্যই চ্যালেঞ্জ।

জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপির একাধিক নেতা জাতীয় পার্টিকে নানারকম লোভ দেখাচ্ছে। এধরনের লোভ বিএনপি আগেও বহুবার দেখিয়েছে। এরশাদ সাহেব সেই ফাঁদে পা দেননি। আগামীতেও দেবেন না বলেই আশা করছেন তারা।
সূত্র: বিডি জার্নাল