সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষ করে হাতিরঝিলে বসলাম। সামনেই এক জুটি এসে বসলো তার পর লক্ষ করলাম….
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষ করে হাতিরঝিলে বসলাম। সামনেই এক কপোত কপোতি এসে বসলো। ছেলেটার হাতে দুটো লাল গোলাপ আর র্যাপিং পেপারে মোড়া একটা ছোট বাক্স। ছেলেটার চোখে মুখে উত্তেজনা আর একটু খানি লজ্জার ছাপ।
মেয়েটার হাতে গোলাপ আর বাক্সটা দিয়ে দিলো। আমি এপাশ থেকে দেখছি, মেয়েটার যতটুকু আগ্রহ প্যাকেটটা খোলার প্রতি আমার তার থেকেও যেন বেশি। ড্যাব ড্যাব করে দেখছি। ইদানিং সুখি মানুষদের দেখতে বেশি ভাল লাগে কিনা।
তো, মেয়েটা বেশ ভয়ে ভয়ে র্যাপিং খোলার পরই ভেতর থেকে বের হয়ে আসলো একটা মিস্টির প্যাকেটের মত বাক্স। একটু ঘাবড়ায় গেলাম। মিষ্টির বাক্স র্যাপিং করে প্রেমিকার হাতে? যাই হোক, সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে প্রেমিকাকে রসে টূই টম্বুর এক প্যাকেট রসগোল্লা দিলেও খুব বেশি অন্যায় হতো না হয়ত। যদিও যখন প্যাকেট খোলা হলো তখন রসগোল্লার প্যাকেট থেকে রসগোল্লা না বেরুলেও মেয়েটার চোখ দুটো পুরো রসগোল্লার মতো হয়ে গেলো আবেগে-ভালবাসায় কিংবা উত্তেজনায়।
প্যাকেটের ভেতর পুরো ২-৩ ডজন নীল রঙের রেশমী চুড়ি। মেয়েটা দুই গালে হাত দুটো নিয়ে এত সুন্দর করে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো- বিশ্বাস করেন- বিধাতাও এমন দৃশ্যের প্রেমে পড়ে যাবে।
ভালবাসতে হিরের আংটি কিংবা দামী রেস্তোরার নাগা পাস্তা লাগে না- মাথার উপর বিশাল এক খোলা আকাশ কিংবা কিছু নীল রেশমি চুড়িই যথেষ্ট। বিশ্বাস না হলে এমন ভালবাসায় নিজেকে আবদ্ধ করেই দেখুন। ভালবাসার উপর ভালবাসা জন্মে যাবে।
সুখে থাকুক ভালবাসা। আর বাজুক নতুন তালে, বাতাসে বহিছে প্রেম…
লেখা: দিবাকর সাহা দ্বীপ