সাংবাদিক নদীর ফোনের কললিস্টে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত পাবনার নারী সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদীর মোবাইল ফোনের কললিস্ট পর্যালোচনা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাবনা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক অরবিন্দ সরকার বলেন, নদীর সঙ্গে গত সাত দিনে সহস্রাধিক ব্যক্তির কথোপকথন হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তির কথোপকথন হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
নদীর জানাজার আগে র্যাব, পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে নিহয় নদীর মা মৃত্যুর আগে নদীর দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নদীকে তার সাবেক স্বামী রাজিবুল ইসলাম রাজিব ও তার সহযোগী মিলনসহ ৪-৫ জন চাপাতি দিয়ে কোপায়। নদী তাদের চিনতে পেরে বিচার দাবি করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার নদী হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার সাবেক শ্বশুর পাবনার শিমলা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক শিল্পপতি আবুল হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। বিকেলে পাবনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক রাশেদ হোসাইন এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, তদন্তের জন্য আবুল হোসেনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার ছেলে নদীর সাবেক স্বামী রাজিবকে গ্রেফতার করতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। খুব শিগগির তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।
জানা গেছে, পাবনা শহরের ভুরভুড়িয়া মালঞ্চি গ্রামের সাধারণ ব্যক্তি আবুল হোসেন এখন শতকোটি টাকার মালিক। ছেলে রাজিব ছোটবেলা থেকেই লম্পট। শিমলা হাসপাতালে তার নিজম্ব কক্ষ রয়েছে। তার ভয়ে নার্স, আয়া ও অন্য কোনো নারী কর্মী তার কক্ষে যায় না বলে জনশ্রুতি আছে।
তবে আবুল হোসেনের ছোট মেয়ে শাপলা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার বাবা সমাজসেবক। রোটারি ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। তাদের ছোট করতে এ ধরনের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে পাবনা শহরের রাধানগরের বাসার সামনে দৈনিক জাগ্রত বাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি নদীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন মা মর্জিনা বেগম নদীর সাবেক শ্বশুর, সাবেক স্বামী রাজিবসহ তিনজনের নাম ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরপর দুপুরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে। অন্যতম আসামি রাজিব এখনও পলাতক।