সমুদ্রের তীরে ১৪ ফুটের দৈত্যাকার স্কুইড!
অনলাইন ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের সমুদ্রের তীরে তিন ভাই ড্যান, জ্যাক আর ম্যাথিউ অ্যাপলিন ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। এমন সময় আচমকাই তাদের চোখে পড়ে বিশাল একটা প্রাণী।
১৪ ফুট লম্বা দৈত্যাকার স্কুইড। বিশাল বিশাল চোখ। প্রায় ১০ ইঞ্চি ব্যাস হবে স্কুইডটির চোখের। রয়েছে আটটি বিশাল শুঁড়। এই দৈত্যাকার স্কুইডটির মরদেহ ভেসে এসেছিল সমুদ্র তীরে। তখনই তিন ভাইয়ের চোখে পড়ে সেটি।
তিন ভাইয়ের মধ্যে ড্যান অ্যাপলিন ওশেন হান্টার স্পেয়ারফিশিং অ্যান্ড সি ডাইভিং স্পেশালিস্ট। মুহূর্তের মধ্যেই দৈত্যাকার স্কুইডের ছবি তুলে পোস্ট করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোস্ট হয়ে যায় ভাইরাল। শুধু সোমবার সকালেই এই ছবিটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ছয় হাজার বার।
অ্যাপলিন ভাইরা বলেন, রেড রক রিজার্ভের কাছেই সমুদ্র তীরের পাশে তারা গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এর পরই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমস্ফেয়ারিক রিসার্চের গবেষকদের খবর দেন তারা।
স্কুইডের মরদেহটিকে নিয়ে যান তারা। ৩৩ ফুটের এই স্কুইডটির ওজন দুইশ কেজি। যদিও এটি বৃহত্তম স্কুইড নয়। এর আগে ৪৩ ফুটের একটি স্কুইড ধরা পড়েছিল স্মিথসোনিয়ান সাগরে।
বিশাল স্কুইডটিকে ফেসবুকের পোস্টে দেখে চমকে উঠেছেন অনেকেই। এত বড় স্কুইডও হয় নাকি, এত দৈত্য!, দূষণের ফলেই সামুদ্রিক প্রাণীরা আজ বিপন্ন, এই প্রাণীটির কীভাবে মৃত্যু হলো জানা দরকার, এ জাতীয় মন্তব্য ভেসে আসে ফেসবুকে।
এর আগেও দৈত্যাকার একটি স্কুইডের দেখা পাওয়া গেছে ২০০৪ সাল নাগাদ জাপানে। এই প্রাণীর ক্ষেত্রে পুরুষের দৈর্ঘ্য স্ত্রী প্রাণীটির চেয়ে কম।