কোরবানি নিয়ে ন্যাকামো কেন?
গোলাম মোর্তোজা: আপনি কোরবানি দেবেন কী, দেবেন না- সিদ্ধান্ত আপনার। কেউ কোরবানি দিলে,গরু বা খাসির ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিলে, আপনার সমস্যা কী?
জীব হত্যা?
ন্যাকামোর জায়গা পান না!
সব কিছুর জীবন আছে,আপনি ভেজিটেরিয়ান হলে, যা খান – সেসবেরও জীবন আছে।
পনির খান, যা গরু বা মহিষের দুধ থেকে তৈরি। গরুর বাচ্চা বাছুরকে বেঁধে রেখে,মা গরুর দুধ দোয়ানো হয়। আপনি যে দুধ খাচ্ছেন, তা আসলে খাওয়ার কথা বাছুরের। কথাটা এভাবেও বলা যায়, বাছুরকে বঞ্চিত করে ‘বিবেকবান’ আপনি দুধ- পনির খাচ্ছেন!
মনে রাখা দরকার কোনো বিলুপ্ত প্রাণী কোরবানি দেওয়া হয় না। কোরবানির জন্যে পালন করা গরু- ছাগলই, কোরবানি দেওয়া হয়। ধান বা সবজির মত, কোরবানির পশু পালনের সঙ্গেও বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পৃক্ত।
গরু জবাই দেখে ‘বিবেক’ জেগে ওঠে, মুরগি খেতে সমস্যা হয়না!
জবাই করে আর গুলি করে হত্যা-দুই রকমের ব্যাপার। গুলি করে হত্যাা বিদেশিরা করে বলে তা আরামদায়ক, ব্যাপারটা মোটেই তেমন নয়।
রক্তের ছবি পোস্ট দেওয়ার দরকার নেই। তবে এই ‘হঠাৎ জীবপ্রেমী’দের ন্যাকামোর প্রতিবাদে বেশি বেশি কোরবানির গরু- ছাগলের ছবি পোস্ট দেওয়া দরকার।