কোরবানির মাংস সংরক্ষণ
কোরবানির ঈদে মাংস সংরক্ষণ অনেকের চিন্তা বিষয় হয়ে ওঠে। ফ্রিজের কল্যাণে সে কাজটা সহজ হয়ে গেছে। এ কারণে অনেকেই কোরবানির আগে নয়া ফ্রিজ কেনেন। নিয়ম মেনে কোরবানির মাংস গরীবদের এবং আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়ার পরও প্রয়োজন হয় সংরক্ষণের। অনেকেই জানেন না কোরবানির মাংস কতদিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যায়। এখানে মাংস সংরক্ষণ বিষয়ে কিছু তথ্য দেয়া হলো।
১. ফ্রিজে গরুর মাংস ৫-৬ মাস, খাসির মাংস ৪-৫ মাস পর্যন্ত রাখা যায়। তবে কলিজা বেশিদিন ফ্রিজে না রাখাই ভালো। এ ছাড়া উট, মহিষের মাংস ৩-৪ মাস রাখা যাবে। আর ভেড়া রাখা যাবে ২-৩ মাস।
২. ফ্রিজের মধ্যে যে বাক্স থাকে সেখানে খোলা মাংস রাখবেন না। প্লাস্টিকের ব্যাগেই মাংস রাখা উচিত। চর্বিসহ মাংসগুলো আলাদা রাখাই ভালো। ফ্রিজে রাখার আগে, ধোয়ার পর পানি ভালো করে ঝরিয়ে নিন। না হলে অনেক দিন রেখে দিলে মাংস নষ্ট হয়ে যাবে।
৩. মাংস ফ্রিজে রাখার এক সপ্তাহের মধ্যে বাসায় ইলেকট্রিসিটি না থাকলে খুব একটা ফ্রিজ খুলবেন না। এতে মাংস শক্ত হওয়ার আগেই বাতাস লাগলে বেশিদিন ভালো থাকবে না।
৪. রান্না করা মাংস ছোট বাক্সে রাখুন। না হলে ফ্রিজ থেকে বের করে মাংস গরম করে আবার ফ্রিজে রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫. ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার নিচে তাপমাত্রায় কাঁচা মাংস ৪ থেকে ৬ দিন রাখা যায়।
৬. জিরো ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার নিচে রাখলে গরুর কাঁচা মাংস ১২ মাস ভালো থাকবে।
৭. মাংস ফ্রিজে রাখার আগে প্যাকেটের গায়ে তারিখ লিখে রাখুন। এতে মাংসগুলো কতদিন সংরক্ষণ করা হয়েছে সেটা সহজেই বোঝা যাবে।
৮. ফ্রিজে মাংস রাখার ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ঠিক আছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৯. আর ফ্রিজে মাংস রাখার ক্ষেত্রে বড় বড় টুকরা করে রাখতে হবে। কারণ, ছোট টুকরাতেও অনেক সময় পানি ও রক্ত জমে থাকে।
১০. মাংস ফ্রিজে রাখার আগে অবশ্যই মাংস থেকে রক্ত, চর্বি, পানি পরিষ্কার করে নিতে হবে। এগুলো থাকলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে।
১১. মাংস অবশ্যই প্লাস্টিকের ব্যাগে বা অ্যালমুনিয়াম ফয়েলে রাখতে হবে। প্লাস্টিকের ব্যাগ বা অ্যালমুনিয়াম ফয়েলে রাখলে বাতাস থাকে না। বাতাস ঢুকলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে।
১২. তবে পুষ্টিগুণের কথা চিন্তা করতে হলে অবশ্যই মাংস এক মাসের মধ্যে খেয়ে ফেলা উচিত বলে পরামর্শ দেন তিনি।