এই শতকের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণটি ঘটতে চলেছে শুক্রবার; মেঘ বাগড়া না দিলে ১০৩ মিনিট স্থায়ী এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও।সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে একই সরলরেখায় চলে এলে গ্রহণ হয়। এ সময় পৃথিবী যদি চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে থাকে, তখন চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে যায়। একে বলা হয় চন্দ্রগ্রহণ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জলবায়ু মহাশাখা জানিয়েছে, এবারের চন্দ্রগ্রহণের সময় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলো-আঁধারিতে ঢাকা থাকবে চাঁদ।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১৩ মিনিট ৬ সেকেন্ড থেকে শনিবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ড পর্যন্ত এই গ্রহণ চলবে।
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবী থেকে চাঁদকে দেখায় গাঢ় কমলা বা লাল রঙের। এ কারণে চাঁদের এ অবস্থাকে বলা হয় ‘ব্লাড মুন’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ব্লাড মুন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ রীতিমত উৎসবের আমেজে এই ‘রক্তাভ চাঁদ’ দেখার আয়োজন করেছে বলে খবর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ঢাকার বিজ্ঞান জাদুঘরে দর্শনার্থীদের জন্য নিয়মিতভাবে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ দেখার আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞান জাদুঘরের সিনিয়র কিউরেটর এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে উন্মুক্ত থাকবে জাদুঘর। চন্দ্রগ্রহণ উপলক্ষে থাকবে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনার। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে গ্রহণ দেখারও আয়োজন হবে।
এর আগে ২০০০ সালের ১৬ জুলাই ১০৬ মিনিট স্থায়ী চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আর পরবর্তী পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে ২০২৮ সালে ৩১ ডিসেম্বর। তবে সেটা এবারের মত এত দীর্ঘ সময় ধরে হবে না।