চড়া মূল্যে শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে শাকিবের ‘ভাইজান’
বাংলাদেশে ‘ভাইজান এলো রে’ মুক্তি পাবে আগামী শুক্রবার (২৭ জুলাই)। সেই হিসেবে বাকি আছে আর মাত্র তিনদিন। কলকাতার ছবি হলে তারকা অভিনেতা শাকিব খান অভিনীত ‘ভাইজান এলো রে’ প্রদর্শন করতে আদাজল খেয়ে নেমেছেন বাংলাদেশের সিনেমা হল মালিকরা। আমদানি করে বাংলাদেশে ছবিটি মুক্তি দিচ্ছে এন ইউ আহমেদ ট্রেডার্স।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে নির্মাতা অনন্য মামুন জানান, ‘ভাইজান এলো রে’ নিয়ে সিনেমা হল মালিকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখতে পাচ্ছেন তিনি। আরও জানান, সারাদেশে ১০০-র মতো সিনেমা হলে ‘ভাইজান এলো রে’ মুক্তি পেতে পারে। চ্যানেল আই অনলাইনকে অনন্য মামুন বলেন, আমাদের টার্গেট ছিল প্রথম সপ্তাহে ৮০’র মতো হলে মুক্তি দেয়া।
সিনেমা হলের মালিকরা ‘ভাইজান এলো রে’ নিয়ে যে পরিমাণ আগ্রহ লক্ষ্য করছি তাতে হল সংখ্যা ১০০ তে গিয়ে পৌঁছুবে। (আজ) মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৭৩টি হলে মুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। এমজি (মিনিমাম গ্যারান্টি) ছাড়া একটি হলেও ছবি দিচ্ছি না।সিনেমা হলের মান বুঝে রেন্টালে ছবি দেয়া হচ্ছে বলে জানান অনন্য মামুন। তিনি বলেন, একেক হলে একেক রকম রেন্টাল। যেমন নারায়ণগঞ্জের নিউ মেট্রো সিনেমা হলে ৫ লাখ টাকায় ছবি দিয়েছি। তবে অন্য ছবি যে পরিমাণ রেন্টালে দেয়া হয় তুলনামূলক অনেক বেশি রেন্টালে দিচ্ছি ‘ভাইজান এলো রে’।
ঢাকার মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, শ্যামলী, বলাকা, মধুমিতা, জোনাকি, সনি, পূরবী এসবগুলোতে চলবে ‘ভাইজান এলো রে’। এখনও তো তিন দিন আছে। ঢাকা ও এর আশপাশে আরও হল পাবে বলে জানান অনন্য মামুন। তিনি আশা করছেন, ‘ভাইজান এলো রে’ দিয়ে সিনেমার ব্যবসায় নতুন রেকর্ড হবে।
জয়দীপ মুখার্জি পরিচালিত ‘ভাইজান এলো রে’ প্রযোজনা করেছে এসকে মুভিজ। ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী ও পায়েল সরকার। আরও অভিনয় আছেন দীপা খন্দকার, মনিরা মিঠু, শাহেদ আলী, রজতাভ দত্ত, বিশ্বনাথ, শান্তিলাল মুখার্জি।
গেল ঈদে ছবিটি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায় ‘ভাইজান এলো রে’। সেখানকার শীর্ষ স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ‘ভাইজান এলো রে’ ঈদে মুক্তি পাওয়া কলকাতার অন্য ছবির তুলনায় ‘ভালো ব্যবসা’ করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে ওপার বাংলার দর্শকরা ‘ঢালিউড কিং’ তকমার পাশাপাশি ‘দুই বাংলার ভাইজান’ নামে আখ্যা দিয়েছেন।