বড়পুকুরিয়ায় কয়লা গায়েব, অনুসন্ধানে দুদক
নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে কাগজে-কলমে বেশি কয়লার মজুত দেখিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি।
সংস্থার উপপরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক এ এস এম তাজুল ইসলাম। পরিচালক কাজী শফিকুল আলমকে এই অনুসন্ধানকাজের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার কমিশনের পক্ষ থেকে এ কমিটি করা হয় বলে জানিয়েছেন উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ লাখ ১৬ হাজার টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বড়পুকরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক জানায়, ২০০৫ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। দীর্ঘ ১৩ বছরে কয়লা উত্তোলন হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ টন। বর্তমানে কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুত থাকার কথা ১ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু বাস্তবে কয়লার মজুত পাওয়া গেছে ১৪ হাজার টনের মতো। ১ লাখ ১৬ হাজার টনের মতো কয়লার কোনো হদিস নেই। যার বাজারমূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র চুরি করে খোলা বাজারে এসব কয়লা বিক্রি করে দিয়েছে।