কেনো দ্বিতীয় দেশের নাগরিকত্ব নেন ধনীরা
ডেস্ক রিপোর্ট।। বিশ্বের অত্যধিক ধনীরা নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্ব নেন। এজন্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়। এমনকি তারা তৃতীয় বা চতুর্থ কোনো দেশের নাগরিকত্ব ক্রয়ে বড় ধরনের অর্থ খরচ করেন। অবশ্য তা উপসাগরীয় দেশের চেয়ে সস্তা, প্রমোদতরীর চেয়ে দ্রুতগতির মত ভিন্ন দেশের কোনো পাসপোর্ট এধরনের ধনীদের কাছে আরেক স্মারক হয়ে থাকে। এমনকি আত্মনির্ভরশীল দেশের নাগরিকদেরও মনে হয় তার প্লান বি প্লাস প্রয়োজন। ব্লুমবার্গ
অস্ট্রিয়া ১৯৮৫ সাল থেকে অন্যদেশের নাগরিককে নাগরিকত্ব দিয়ে আসছে। এজন্যে নাগরিকপ্রার্থীকে দিতে হয় ২ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ২৮ ও করপোরেট ট্যাক্স ২৫ শতাংশ। সাইপ্রাসের নাগরিকত্বের জন্যে দিতে হবে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৫ হাজার ডলার, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ২০ ও করপোরেট ট্যাক্স সাড়ে ১২ শতাংশ। মালটার ক্ষেত্রে ১০ লাখ ৬৫ হাজার ডলার, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ১২ ও করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ। তুরস্কের জন্যে ১০ লাখ ডলার, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ৩৫ ও করপোরেট ট্যাক্স ২২ শতাংশ। ভানুয়াতু’র জন্যে ২ লাখ ২৬ হাজার ৫’শ ডলার, কোনো ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বা করপোরেট ট্যাক্স দিতে হবে না। গ্রেনেডার জন্যে ২ লাখ ৮ হাজার ২৫০ ডলার, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ১২ ও করপোরেট ট্যাক্স ৩০ শতাংশ। সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসের জন্যে দেড় লাখ ডলার ও করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ। সেন্ট লুসিয়ার জন্যে ১ লাখ ডলার ও করপোরেট ট্যাক্স ৩০ শতাংশ। ডোমিনিকার জন্যে ১ লাখ ডলার ও করপোরেট ট্যাক্স ২৫ শতাংশ। অ্যান্টিগুয়া এন্ড বারবুডা’র জন্যে ১ লাখ ডলার।ৎ
অন্য দেশের নাগরিকত্বের ব্যবস্থা করে দেয় লন্ডন ভিত্তিক এমন একটি প্রতিষ্ঠান হেনলি এন্ড পার্টনারস’এর চেয়ারম্যান ক্রিস্টিয়ান কালিন বলেন, তারা নিরাপত্তা ও মানসিক প্রশান্তিকেই সর্বাগ্রে বিবেচনা করেন। তাদের দেশে কোনো বিপ্লব বা কোনো ধরনের উত্থানের ক্ষেত্রে তিনি নিরাপদ স্থান বিবেচনা করেই ভিন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে হেনলি এন্ড পার্টনারস’এর অফিস আছে।
যে দশটি দেশ অন্যদেশের নাগরিকদের নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে তা বিবেচনা করা হয় দেশটির স্থানীয় সম্পদ ও ব্যবসায় নাগরিকপ্রার্থী সরাসরি কতটা বিনিয়োগ করবেন। বিবেচনা করা হয় নাগরিকপ্রার্থীর আর্থিক সামর্থের পরিধি কতটা ব্যাপক। কারো যদি একটি প্রমোদতরী ও দুটি বিমান থাকে তাহলে নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ হয়ে ওঠে।