আশুগঞ্জের রেলগেইটে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক বিক্রির অভিযোগে আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি : আশুগঞ্জের রেলগেইটে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক বিক্রির অভিযোগে বুধবার দুপুরে আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা। এবং অভিযুক্তদের ভ্রাম্যমান আদালতে মাধ্যমে সাজা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আগুন লাগার খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুনের নিভাতে সহায়তা করে।
জানাগেছে, উপজেলা শহরের রেলগেইটে থেকে যাত্রাপুর যাওয়ার পথে গোলাইল বাকে এলাকায় বীরমুক্তিযোদ্ধা শরিয়ত উল্লাহর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে সুচি আক্তার ওরফে সুর্জিও তার পরিবারের লোকজন অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক বিক্রি করে আসছিল বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
বিষয়টি এলাকাবাসী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও বাড়ি মালিক বীরমুক্তিযোদ্ধা শরিয়ত উল্লাহ একাধিকবার বাধা দিলেও সুর্জি এ ব্যবসা বন্ধ করেনি। পরে বুধবার দুপুরে আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সালাহ উদ্দিন, ইউপি সদস্যরাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী গিয়ে মাদকের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে এবং ঘরে আগুণ ধরিয়ে দিয়েছে।
এ সময় সুর্জি দ্রুত পালিয়ে গেলেও আস্তানায় অশ্লিলতার অভিযোগে সুর্জির তিন মেয়ে ও বোনও বোনের পালিত মেয়েকে আটকে করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হিরার নিদের্শনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিনা আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃতদের অশ্লিলতার প্রমাণ পান। এবং অভিযুক্তদের মধ্যে অশ্লিলতার আইনে সুর্জির বোন মাসুমা বেগমকে ১৫ দিনের সাজা দেন নির্বার্হী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশণার (ভূমি) শাহিনা আক্তার। বাকী সুর্জির মেয়ে লাবনী, শ্রাবনী, টুনি ও মাসুমার পালিত মেয়ে সাধনা অপাপ্ত বয়সের কারণে আগামীদিন অপরাধে জড়িত না করার প্রতিশ্রুতি দিলে জনপ্রতিনিধিদের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। মাসুমাকে পুলিশের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরা জানান, উপজেলার যে কোন স্থানেই অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক ও বাল্য বিবাহের অভিযোগ পাওয়া যাবে। তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।