সোনার ট্রফি পেয়েও যে কাজটি করতে ভোলেননি পগবা…
রাশিয়া বিশ্বকাপের সঙ্গে পগবা নামটি জড়িয়ে থাকবে বহুদিন। এ পর্য্ন্ত ফাইনালে যাদের গোল করার সৌভাগ্য হয়েছে পগবা তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৮ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার ইমানুয়েল পেতাঁ বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করেছিলেন। এত দিন পরে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন পগবা।
গতকাল তিনি কাপ হাতে নিয়ে মজা করে বলেন, ‘ইংল্যান্ডে না, এটা আমি আমার নিজের দেশে নিয়ে যাচ্ছি।’ তার এ হেন মন্তব্যের নানা রকম মানেও করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে তিনি জোসে মোরিনহোর কোচিংয়ে আর খেলতে চান না বলেই এমন কথা বলেছেন। ক্লাবে কোচের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেও ভালো নয়। ইংল্যান্ডের কাগজগুলিতে লেখা হয়েছে, মোরিনহোর উচিত দেশঁকে দেখে শেখা যে, কী ভাবে পোগবাকে ব্যবহার করতে হয়।
এক সময় রয় কিনের মতো প্রাক্তন তারকা পগবার নানা সময়ে নানা ধরনের চুলের ছাঁট নিয়ে বিদ্রুপ করতেন। রোববার সেই একই মানুষের প্রতিক্রিয়া, ‘আগে যা যা বলেছি সে সবের জন্যই আমি দুঃখিত। ফাইনালে যা খেলল ছেলেটা, তাতে এখন ও যা ইচ্ছে তাই করতে পারে।
পগবা কিন্তু বিশ্বকাপ জেতার দিন এই ধরনের বিতর্কিত প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন। গলায় বিশ্বজয়ীর পদক ঝুলিয়ে তাঁর মনে পড়েছে মায়ের কথা। পগবার মা-র নাম ইয়ো মরিবা। খুব ছোটবেলায় অনেক কষ্ট করে তাঁদের তিন ভাইকে মানুষ করেন বিবাহবিচ্ছিন্না এই নারী।
রোববার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে তিনিও ছিলেন। ফাইনালের পরে মাঠেও এসেছিলেন। যাতে অনেকেরই মনে পড়ে পগবার সেই প্রতিক্রিয়া! মাতৃদিবসে নিজের টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, আমি ভাগ্যবান যে তোমার ছেলে হতে পেরেছি। এই মুহূর্তে বিশ্বফুটবলের বর্ণময় এক চরিত্র পল পগবা যে তাঁর পদকটা নিজের মায়ের গলায় পরিয়ে দেবেন, তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে। দিয়েছেনও।